বরিশাল: দীর্ঘদিন থেকে একাধিক টেলিকম সেন্টার ও বিকাশ এজেন্টের দোকানে কৌশলে চুরি করে আসছিলেন আরিফ হাওলাদার। ছিলেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে চোরাইকৃত চারটি মোবাইল সেটসহ আরিফ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চুরির একটি অভিযোগের সূত্রধরে প্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল জেলার গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) তাকে নিয়েই চুরির মালামাল উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। এর আগে আরিফ তার অপকর্মের ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দেন। তিনি বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মনদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, আরিফকে সঙ্গে নিয়ে সদস্যরা গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাকাই বাজার সংলগ্ন একটি বাগানের পরিত্যক্ত স্থান থেকে দুটি মোবাইল উদ্ধার করেছেন।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, বাকাই বাজারের সাহা টেলিকম সেন্টারের সিলিংয়ের টিন কেটে গত ১০ আগস্ট দিবাগত রাতে চুরি হয়। চোরেরা সেখান থেকে বিভিন্ন ব্যান্ডের প্রায় ২০টি মোবাইল চুরি করে। এ ঘটনায় ১১ আগস্ট ব্যবসায়ী জুয়েল সাহা গৌরনদী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চুরি হওয়া মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে আরিফ হাওলাদারের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। পরবর্তীতে শনিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গৌরনদী মডেল থানায় আনা হয়।
ওসি আরও জানিয়েছেন, রোববার সকালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ হাওলাদার চুরির কথা স্বীকার করে। এরপর তাকে নিয়ে চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে দুইটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই গৌরনদীর বাটাজোর বন্দরের পার্থ কম্পিউটার সার্ভিসিং, বিক্রয় ও বিকাশ এজেন্টে একইভাবে চালের টিন কেটে চুরির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ চোরেরা ওই দোকান থেকে নগদ ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। ওই চুরিও গ্রেপ্তার আরিফ হাওলাদার করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। চুরির ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় আরিফ হাওলাদারের রিমান্ড আবেদন করে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
এমএস/এমজে