ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্য তবারক গ্রেপ্তার

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্য তবারক গ্রেপ্তার তবারক মিয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মীর আরসালানকে মারধরের মামলায় এক নম্বর আসামি ও প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্য তবারক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

রোববার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তবারক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে জানান, সম্প্রতি মীর আলভি আরসালান নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামি তবারককে বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বাংলানিউজকে জানান, তাকে আনুমানিক বিকেল ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এখনও শাহবাগ থানায় আছেন।

গত ৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. রেহেনা আক্তারের ছেলে মীর আলভি আরসালানেরকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এতে তবারক মিয়া, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মুরসালিন ফাইয়াজ, সাকিব, জুবায়ের, স্যার এ এফ রহমান হলের জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনের নাম উল্লেখ ও ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন ডা. রেহেনা। তারা সবাই আলোচিত ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ সদস্য।  

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম পাশে বসে মীর আরসালান তার বান্ধবীর সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় তবারক, মুরসালিন, সাকিব, জুবায়ের ও জোবায়ের ইবনে হুমায়ূনসহ বেশ কয়েকজনের একটি দল তাদের হেনস্তা ও ভয়ভীতি দেখায়। আলভী প্রতিবাদ করলে তাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্জন স্থানে নিয়ে তারা নির্যাতন করে।  

এতে আরও বলা হয়, রড, লাঠি ও কাঠ দিয়ে তাকে পেটানো হয়। তবারক আলভীর পকেটে থাকা ২ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে সরে যান। মুরসালিন আলভীর কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্মার্টফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। সবশেষে আলভীর ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ফেলেন অভিযুক্তরা। গুরুতর অবস্থায় আলভীকে ধানমন্ডির পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে ডা. রেহেনা উল্লেখ করেন, এক নম্বর আসামি তবারক রড দিয়ে আলভীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। মুরসালিন লাঠি দিয়ে আঘাত করে আলভীর ডান হাতের কনুইয়ের হাড় ভেঙে ফেলেন। সাকিব ও আরও কয়েকজন মিলে আলভীর গায়ে সিগারেটের আগুন লাগিয়ে দেন। জুবায়ের আলভীর বুকে ও পিঠে লাথি মারেন। আলভীর মুখ, মাথা, ঠোঁট ও চোখে ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করেছে তারা।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের কয়েকজন শিক্ষার্থী 'প্রলয় গ্যাং' নামে একটি অপরাধী চক্র গড়ে তোলেন। যাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় ছিনতাই, মারধর, কক্ষ দখলসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীম উদ্দীন হল মাঠে জুবায়ের ইবনে হুমায়ুন নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের পর প্রলয় গ্যাংয়ের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আলোচনায় আসে। দীর্ঘদিন পর আলভী আরসালানকে মারধরের ঘটনায় আবারও আলোচনায় এসেছে প্রলয় গ্যাং।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।