ঢাকা: একজন আদর্শ শিক্ষক, গুণী লেখক, দক্ষ অনুবাদক, দায়বদ্ধ রাজনীতিবিদ ও সমাজ বদলের স্বপ্নশীল দার্শনিক ছিলেন সরদার ফজলুল করিম। তিনি কৈশোরকাল থেকে আমৃত্যু মানুষের মুক্তির জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক সরদার ফজলুল করিমের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক সরদার ফজলুল করিমের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি, পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন। একক বক্তব্য দেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
ড. সরকার আমিন বলেন, সরদার ফজলুল করিম সহজিয়া বাংলার এক বিরল মনীষা। তিনি আমৃত্যু মানুষের মঙ্গলের কথা ভেবেছেন এবং সর্বমাঙ্গলিক সমাজ গড়ার কাজ করেছেন।
অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, সরদার ফজলুল করিম একজন আদর্শ শিক্ষক, গুণী লেখক, দক্ষ অনুবাদক, দায়বদ্ধ রাজনীতিবিদ ও সমাজ বদলের স্বপ্নশীল দার্শনিক। তিনি কৈশোরকাল থেকে আমৃত্যু মানুষের মুক্তির জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। অসামান্য মেধার অধিকারী মানুষটি তার ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য তুচ্ছ করে মহৎ-মানবিক পৃথিবী গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
বক্তারা বলেন, সরদার ফজলুল করিম দৈহিকভাবে আমাদের মাঝে না থাকলেও তার অম্লান আদর্শ চিরকাল বাংলা ও বাঙালিকে পথ দেখাবে।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, সরদার ফজলুল করিম বাংলা একাডেমির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে আবদ্ধ। আমৃত্যু সরদার ফজলুল করিম তার অনুবাদ ও দর্শনচর্চার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের মুক্তির দার্শনিক পাটাতন তৈরির কাজ করেছেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
এইচএমএস/আরবি