ঢাকা, রবিবার, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজনের মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজনের মৃত্যু

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজধানীতে বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পৃথক ঘটনায় নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।  

মঙ্গলবার (২৮ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ।

এর আগে সোমবার (২৭ মে) রাতে পৃথক চারটি ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এরা হলেন- খিলগাঁওয়ের রিয়াজবাগ এলাকায় রিকশার গ্যারেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া রাকিব (২৫), খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগে রাস্তায় জমে থাকা পানির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া মরিয়ম বেগম (৪৫), যাত্রাবাড়ীতে টিনের প্রাচীর স্পর্শ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া লিজা আক্তার (১৬) ও বাড্ডা জি এম বাড়ি এলাকায় রাস্তার পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া আল আমিন (১৭)।

নিহত রাকিবকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার সহকর্মী খোকন মিয়া জানান, তারা খিলগাঁও রিয়াজবাগ ৬ নম্বর গলিতে একটি রিকশার গ্যারেজে থাকেন। ওই এলাকায় তারা রিকশা চালান। রাতে বৃষ্টির কারণে তাদের রিকশার গ্যারেজটিতে পানি জমে ছিল। সেই পানির মধ্যে রিকশা রেখে এর ব্যাটারি চার্জ করছিলেন রাকিব। তখন চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। রাকিবের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায়।

এদিকে নিহত মরিয়মকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী মো. নাহিদ জানান, রাতের দিকে খিলগাঁও সিপাহীবাগ আইসক্রিম গলির মক্কা টাওয়ারের পাশে একটি রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মরিয়ম নামে ওই নারী। রাস্তাটিতে বৃষ্টির কারণে হাঁটু পানি জমেছিল। তাদের ধারণা, সেখানে বিদ্যুতের কোনো তার ছিঁড়ে পড়েছিল বা বৈদ্যুতিক খুঁটি বিদ্যুতায়িত হয়েছিল। আর সেখান থেকেই ওই নারী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।  

তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই নারীকে পানিতে পড়ে থাকতে দেখে তিনি ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।  

নিহত মরিয়মের ছেলের বন্ধু তুহিন জানান, মরিয়মের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায়। পরিবার নিয়ে থাকেন খিলগাঁও মেরাদিয়া কবরস্থান গলিতে। স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন তিনি। রাতে গার্মেন্টস থেকে বাসায় ফেরেন। এরপর ছেলে ইয়ামিনকে খুঁজতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। এরপরই রাস্তায় এ দুর্ঘটনার শিকার হন।

আল আমিনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী জাহিদ হাসান জানান, আল আমিনের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া থানার কাশিপুর গ্রামে। তার বাবার নাম জাহাঙ্গীর আলম। বর্তমানে বাড্ডা জি এম বাড়ি এলাকায় থাকে। ওই এলাকাতে যশোর টিম্বার নামে একটি স’মিলে চাকরি করতো সে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসা থেকে স’মিলে আসার সময় রাস্তায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আল আমিন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে মৃত লিজার পরিবারের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, লিজার বাবার নাম সিরাজ খান। পরিবারটি থাকে যাত্রাবাড়ীর দরবার শরীফ এলাকায়। রাতে বাসার পাশে টিনের প্রাচীর কোনো কারণে স্পর্শ করলে সেখান থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
এজেডএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।