ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১৮ জুন ২০২৪, ১০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ট্রেনে ঈদযাত্রা: আজ ঢাকা ছাড়বে দেড় লক্ষের বেশি মানুষ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
ট্রেনে ঈদযাত্রা: আজ ঢাকা ছাড়বে দেড় লক্ষের বেশি মানুষ 

ঢাকা: ঈদ যাত্রার চতুর্থ দিনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২টি স্পেশাল ট্রেনসহ মোট ৬৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার।

তিনি বলেন, আশা করছি এই ট্রেগুলোর মাধ্যমে আজ সারাদিন এক থেকে দেড় লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারবেন।

শনিবার (১৫জুন) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।  

মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, গত ১২ জুন থেকে এবারের পবিত্র ঈদুল আজহার যাত্রা শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের গন্তব্যে যে সকল ট্রেন আমরা পরিচালনা করেছি সে সকল ট্রেনের যাত্রীরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে নিরাপদে এবং ভোগান্তিহীন ভাবে পৌঁছাতে পেরেছেন।

তিনি বলেন, আজকে সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে গেছে। সবগুলো ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশন ত্যাগ করেছে। যাত্রী সাধারণ আমাদের ব্যবস্থাপনায় অনেকটা আনন্দিত হয়েছে। আমরা এবার বিনা টিকিটে ভ্রমণ করার প্রবণতাটা একটু কম দেখেছি। যাত্রী সাধারণ সচেতন হয়েছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, জিআরপি, ডিএমপি, র‍্যাব এবং বাংলাদেশের অন্যান্য সকল বাহিনী গুলো তারা সম্মিলিতভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর ভোগান্তিহীন নিরাপদ ঈদ যাত্রা উপহার দিতে পেরেছি। এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের শিডিউল বিপর্যয় বা বিলম্বিতা বলেন সবকিছু এড়িয়ে অত্যন্ত নিরাপদে মানুষ নির্দিষ্ট সময়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।  

বাংলাদেশ রেলওয়ে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী, বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের সকল পর্যায়ের একটি মনিটরিং টিম কাজ করছে।  

আপনারা জানেন আগামীকাল আমাদের ঈদ যাত্রার শেষ দিন। শেষ দিন পর্যন্ত যাতে স্বাভাবিক এবং সুন্দরভাবে যাত্রীর সাধারণ তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেজন্য সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় ও সহযোগিতাই আমরা সুন্দর একটি ঈদযাত্রা উপহার দিতে পেরেছি।

টিকিট কালোবাজারি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশের রেলওয়ের টিকিটের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় যোগান অপ্রতুল বা আমরা আমাদের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমরা ৩৩ হাজার ৫০০ আন্তঃনগর এর টিকিট বিক্রি করতে পেরেছি এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের ছিল না। কিন্তু এই ৩৩ হাজার ৫০০ টিকিটের বিপরীতে চাহিদা ছিল ব্যাপক। প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে চেয়েছিল এই আন্তঃনগর ট্রেনে। বেশিরভাগ যাত্রী হয়তো অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি। যারা পেরেছেন তারা তো যেকোনোভাবে বাড়িতে পৌঁছাতে পেরেছেন। এখন এই টিকিটগুলো পাওয়ার জন্য এই যে ব্যাপক চাওয়া এই চাহিদাকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র টিকিট প্রিন্ট আউট করে, এডিট করে বিভিন্নভাবে অনেককে প্রতারিত করেছেন। তাদেরকে র‍্যাব ধরেছে। বিশেষ করে এই প্রথম টিকিট কালোবাজির ক্ষেত্রে ভুয়া টিকিট কিনে প্রতারিত হয়েছে এমন কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি।

সাংবাদিকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এগুলোও সম্ভব হয়েছে আপনাদের কারণে। কারণ 'টিকেট যার ভ্রমণ তার' এই সতর্কতামূলক বার্তাগুলো আপনারাই পৌঁছে দিয়েছেন ঘরে ঘরে। আপনাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এভাবেই রেল এগিয়ে যাবে। আশা করি আগামী দিনগুলোতেও টিকিট ব্ল্যাকের কোন অভিযোগ শুনতে পাওয়া যাবে না। আপনারা জানেন এই কালোবাজারে টিকিট বিক্রি বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে একটা ছিল যার ভ্রমণ তার নিশ্চিত করা, শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা, তিন ধাপের বিশেষ চেকিং কার্যক্রম, হেল্প ডেক্সের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক মনিটরিং এবং গোয়েন্দা নজরদারি।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা,জুন ১৫,২০২৪ 
এনবি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।