ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিনোদনপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৪
জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিনোদনপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়

সাভার: ঈদের দ্বিতীয় দিনে আনন্দ বাড়াতে পরিবার নিয়ে অনেকেই ছুটছেন বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে। যাচ্ছেন বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।

তবে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা উন্মুক্ত দর্শনীয় স্থান। আর তাই ভিড় জমেছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। বরাবরই বৃদ্ধ থেকে শিশুর পছন্দের তালিকায় থাকে এ দর্শনীয় স্থানটি। স্মৃতিবিজড়িত জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে ভিড় থাকে বরাবরই। তবে ঈদ এলেই দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেল ৩টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার দর্শনার্থী। অনেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ঘুরে বের হচ্ছেন, আবার কেউ প্রবেশ করছেন। তবে প্রবেশ করার সংখ্যাই বেশি। বেশিরভাগ বিনোদনপ্রেমীরা এসেছেন পরিবার নিয়ে।

সাভারের ভাটপাড়া থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন শাহিন মিয়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চাকরির সুবাদে সাভারে বসবাস করি। প্রতি ঈদে বাড়ি যাওয়া হয় না। এবারও গ্রামে যেতে পারিনি। ঈদের দিনে সারাদিন বাসায় ছিলাম। আজ পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। এখানে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু সবগুলো বিনোদন কেন্দ্রে অতিরিক্ত খরচ করতে হয়। তবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সবার জন্য উন্মুক্ত। তাই জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিবার নিয়ে এসেছি। জাতীয় স্মৃতিসৌধ আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, আমাদের অহংকার। ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা ও বোনের স্মরণে নির্মিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাচ্ছি।  

অপর দর্শনার্থী স্বপ্না বাংলানিউজকে বলেন, পোশাক কারখানায় কাজ করি। সময় পেলেই জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসি। এখানে এলে পরাণ জুড়ে যায়। ঈদে গ্রামে যেতে না পারলেও আজ ঘুরতে এসেছি জাতীয় স্মৃতিসৌধে। বাসা থেকে খাবার নিয়ে এসেছি। সারাদিন এখানে সময় কাটিয়ে বিকেলে বাসায় যাবো। এখানে মূলত নিম্ন আয়ের মানুষরাই বেশি আসে। এ এলাকায় থিম পার্ক ফ্যান্টাসি কিংডম ও নন্দন পার্ক রয়েছে। সেখানে ঘুরতে গেলে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়। আর জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশের কোনো টিকিট লাগে না। যে কারণে সবচেয়ে বেশি বিনোদনপ্রেমী জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসে।  

এ ব্যাপারে দায়িত্বরত আনসার সদস্য বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ ছোট-বড় সবার জন্য নিরাপদ। এখানে কোনো সময় নিরাপত্তার কমতি থাকে না। এজন্য দর্শনার্থীদের সমাগম বেশি হয়। তবে দর্শনার্থী বেশি হলে বিভিন্ন স্থানে ময়লা ফেলে যায়। আমরা দর্শনার্থীদের অনুরোধ করবো, যাতে তারা জাতীয় স্মৃতিসৌধের সম্মান রাখেন। যত্রতত্র ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার অনুরোধ করেন তিনি।

সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদে জাতীয় স্মৃতিসৌধে অসংখ্য দর্শনার্থীর সমাগম হয়। আমাদের আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া ট্যুরিস্ট পুলিশও কাজ করছে।  

ট্যুরিস্ট পুলিশ উত্তরের (সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই) অফিসার ইনচার্জ মনিরুল হক ডাবলু বলেন, ঈদুল আজহা ঘিরে টহল টিম বাড়ানো হয়েছে। সব সময় ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তা রক্ষায় বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। এছাড়া যেকোনো প্রয়োজনে হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৪
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।