ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ জুন ২০২৪, ১৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

নরসিংদীর ২ গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ফারুকের মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৭ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
নরসিংদীর ২ গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ফারুকের মৃত্যু

নরসিংদী: নরসিংদীর চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত কাজী ফারুক (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।  

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাত আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

কাজী ফারুকের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভগ্নিপতি শেখ মোমেন।  

নিহত কাজী ফারুক নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের কাজী খলিলের ছেলে। তার বুকে কয়েকটি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। আহত হওয়ার প্রায় ৩১ ঘণ্টা পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের বিছানায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

এর আগে বুধবার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুর ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইসমাইল কোম্পানি ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মনার গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে কাজী ফারুকসহ গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় জয় বণিক (৩১) নামে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শকও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

নিহতের ভগ্নিপতি শেখ মোমেন বলেন, বুধবার ইসমাইল কোম্পানির লোকজন শাহজাহান মনার লোকজনের ওপর অস্ত্র, টেটাঁ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় ইসমাইল কোম্পানির ছেলে ইব্রাহিম খলিল তার হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে  কাজী ফারুককে বেশ কয়েকটি করে। গুলিতে তার বুক ঝাঁজরা হয়ে যায়। আহত অবস্থা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক দ্রুত ঢাকায় নিতে বলেন। পরে আমরা তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানের চিকিৎসকরা তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখেন। লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থা আজ রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঢাকা থেকে মরদেহ আনার প্রক্রিয়া চলছে।  

তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি খুনি ইব্রাহিম খলিল দেশ ছেড়ে পালানোর পাঁয়তারা করছেন। সম্ভবত তিনি আজ রাতেই দেশ ছেড়ে পালাবেন এমনটাই আমরা জেনেছি। তাই এ অবস্থা প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবি খুনি ইব্রাহিম খলিল কোনো অবস্থায় যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন। তাকে যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শহীদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। এ ঘটনায় মামলা হয়নি আর কেউ আটকও নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৭ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।