ফেনী: ফেনীর চাঞ্চল্যকর অটোরিকশাচালক মঞ্জুর আলম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. আইউব খান প্রকাশ তারাকে স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (৮ জুলাই) গ্রেপ্তারদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নিহত মঞ্জুর ফেনী জেলার সদর উপজেলার লেমুয়া মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় অটোরিকশাচালক ছিলেন। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি গত দেড় বছর আগে সাফিয়া আক্তার মনির সঙ্গে ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের জেরে মঞ্জুর স্ত্রী মনিকে তালাক দেন। তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে মনি মঞ্জুরকে হত্যার হুমকি দেন। গত ১০ জুন বিকেল সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মঞ্জুরের পরিবার তার কোনো সন্ধান না পেয়ে বোগদাদিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে জানতে পারে যে, পুলিশ একটি অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরে মঞ্জুরের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের মর্গে গিয়ে অজ্ঞাত মরদেহ মঞ্জুরের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় মঞ্জুরের প্রথম স্ত্রী বাদী হয়ে ওই সময় ফেনী মডেল থানায় তিনজনকে আসামি করে ও চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে র্যাব-৭ এ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাবের একটি আভিযানিক দল রোববার (৭ জুলাই) এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আইউবকে ও মনিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানাধীন বিশ্ব কলোনি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। আইউব ফেনী সদর উপজেলার কেরানিয়া এলাকার মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে।
র্যাবের দাবি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা বলেন, তারা পরস্পর যোগসাজশে পূর্ববিরোধের জের ধরে মঞ্জুরকে ঘটনার দিন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন এবং মুখমণ্ডল থেতলানোসহ দাঁত উপড়ে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ অজ্ঞাত স্থানে ফেলে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে তারা নিজ এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ এলাকায় আত্মগোপন করে আসছিল।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার দুজনকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২৪
এসএইচডি/আরআইএস