ঢাকা, শুক্রবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডিএনসিসির সহকারী সচিবকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪
ডিএনসিসির সহকারী সচিবকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহকারী সচিব জাহিদ হাসানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ উঠেছে কিছু কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে তারা ঢাকা উত্তর সিটির জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রস্তাবিত কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ওই ঘটনায় প্রতিকার ও দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেছেন জাহিদ হাসানসহ ডিএনসিসির অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে এসব ঘটনা জানা যায়।

অভিযোগ জানানোর চিঠির একটি কপি বাংলানিউজের প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সেখানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবি জানানো হয়।

চিঠিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সহকারী সচিব জাহিদ হাসানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে বলা হয়, আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ইদানিং কতিপয় দুষ্কৃতকারী অনৈতিক সুবিধা লাভের উদ্দেশে বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কক্ষে গিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি প্রদান করছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৩ এর কর্মচারী শেখ শওকত হোসেন (লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজার) এবং মো. ফরহাদ হোসেনের (পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক) নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের উত্তেজিত কর্মচারীর দল জাহিদ হাসান, সহকারী সচিবে কক্ষে প্রবেশ করে। পরে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার উদ্দেশে তার শার্টের কলার ধরে টানাটানি করে এবং আঘাত করার জন্য উদ্যত হয়। এ সময় তার কক্ষে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা ও সহকারী ব্যবস্থাপককে (পরিবহন) তার কক্ষ হতে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়।

এরপর মো. জাহিদ হাসান, সহকারী সচিবকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয়। সেই দপ্তরের অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গেও উদ্ধত আচরণ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য তাদের কক্ষে গিয়ে চাপ সৃষ্টি ও প্রাণনাশের হুমকির মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, যা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ বিঘ্নিত করছে এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হামলা-মামলার আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। এ অবস্থায় আমাদের আবেদন এ যে, চিহ্নিত এসব দুষ্কৃতকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের এবং কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম জানান, কর্মকর্তাদের আবেদন দেওয়ার কথা শুনেছি। তবে দাপ্তরিক কাজে বাইরে থাকায় ওই আবেদন এখনও হাতে পায়নি। হাতে পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উত্তর সিটি সূত্র জানায়, গত ২৫ আগস্ট ঢাকা উত্তর সিটির তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাছানকেও ঢাকা উত্তর সিটির নগর ভবন থেকে মারধর করে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ওইদিনও এ কর্মকর্তাকে মারধর করেছিলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্যরা। এ ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সবাই জানলেও তখন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।