ঢাকা, রবিবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ: সাবেক ভূমিমন্ত্রীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ: সাবেক ভূমিমন্ত্রীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

খুলনা: বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ ও ভুক্তভোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (খুমেক) থেকে ফিল্মিস্টাইলে অপহরণের অভিযোগে সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও ডুমুরিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাকে এজাহার গ্রহণে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ আদেশ দেন। এজাহারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণেরও অভিযোগ আনা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন হাসপাতালের ওসিসির সামনে থেকে কয়েকজন লোক জোরপূর্বক ভুক্তভোগীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।

আদালতে বাদি অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অনুসারী। তাদের বাঁচাতে মন্ত্রী অবৈধ প্রভাব বিস্তার করায় চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়। আসামিরা অত্যন্ত ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে তিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আবার মামলা করেছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল হক বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরেরদিন হাসপাতালের ওসিসির সামনে থেকে তাকে প্রকাশ্যে ফিল্মিস্টাইলে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে ধর্ষণের পর অপহরণ করে বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়। বর্তমানে আইনের শাসন পুনঃ প্রতিষ্ঠা হলে ভুক্তভোগী আমাদের কাছে আসেন। এখন তিনি ভয়-ভীতি থেকে মুক্ত ও সত্য কথা বলতে প্রস্তুত। তার বক্তব্য শুনে আমরা নারী ও শিশু আইনে অপহরণ ও সহযোগিতা করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে সোনাডাঙ্গা থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন। আমরা এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
এমআরএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।