ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তথ্য সন্ত্রাস বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে ম্লান করে দেয়: কাদের গনি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৪
তথ্য সন্ত্রাস বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে ম্লান করে দেয়: কাদের গনি

খুলনা: বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, তথ্য সন্ত্রাস ও হলুদ সাংবাদিকতা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে ম্লান করে দেয়।  

শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে  খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী স্মরণে আয়োজিত নাগরিক শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজী স্মরণে মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (এমইউজে) খুলনার উদ্যোগে এ শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, আজ মুক্ত গণমাধ্যম ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ে রাজপথে পেশাজীবীদের যে সরব অংশগ্রহণ ছিল সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী সেখানে ছিলেন অগ্রসেনানী।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কাদের গনি চৌধুরী আরও বলেন, ৫ আগষ্টের চূড়ান্ত লড়াইয়ের আগে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী রাজপথে থেকে সাংবাদিকদের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যে পথ দেখিয়ে গেছেন দেশব্যাপী সে ধারা অব্যাহত রেখে আর যেন কোনো ফ্যাসিবাদের দোসর মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেদিকে সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অলিতে-গলিতে ব্যাঙের ছাতার মত পত্রিকা গড়ে উঠেছে। তারা চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। এছাড়া অনেকেই মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করছেন। এতে মূলধারার সাংবাদিকতা মলিন হচ্ছে।  

নাগরিক শোক সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএফইউজে’র সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম। এমইউজে খুলনার সভাপতি মো. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হিমালয় ও কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানার পরিচালনায় এসময় স্বাগত বক্তৃতা করেন, ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বিএফইউজে’র সাবেক নির্বাহী সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি মো. আকরামুজ্জামান, মহানগর বিএনপির আবায়ক এডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা, মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির আহবায়ক আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, বিএফইউজে’র সাবেক সহ-সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম, সাবেক নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ আলী, কলেজ শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল হক বাবলু, প্রকৌশলী নেতা মোল্লা আলমগীর হোসেন, ড্যাব এর খুলনা মহানগরী সভাপতি মোস্তফা কামাল, দৈনিক প্রবর্তনের নির্বাহী সম্পাদক কে এম জিয়াউস সাদাত, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা জেলা সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, এমইউজের নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ নূরুজ্জামান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কাদের গনি চৌধুরী আরও বলেন, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী ৪০টি বছর ধরে সাংবাদিকদের দাবি আদায়ে লড়াই-সংগ্রাম করেছে। একদিনের জন্যও পিছ পা হয়নি। কখনও সাংবাদিক আবার কখনও পেশাজীবী হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। ৫ আগস্টের পূর্ব মুহূর্তে যখন ঢাকার বাড্ডা, ধানমন্ডি ও উত্তরা সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিশুসহ গণহত্যার খবর আসে-এমনই এক দুঃসময়ে রুহুল আমিন গাজী পেশাজীবীদের নিয়ে ঢাকার রাজপথে নেমে আসেন। তার নেতৃত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।  

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে টিআর সেল ও মুহুর্মুহু গুলির মধ্যেই পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, আমাদেরকে গুলি কর, আমাদের সন্তানদের হত্যা করোনা। এভাবেই তিনি বন্ধুকে গুলির সাননে দাঁড়িয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৪
এমআরএম/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।