ঢাকা, রবিবার, ৪ কার্তিক ১৪৩১, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘আগে ভয়ে যারা বিচার চাওয়ার সাহস পাননি, তারাও এখন মামলা দিচ্ছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৪
‘আগে ভয়ে যারা বিচার চাওয়ার সাহস পাননি, তারাও এখন মামলা দিচ্ছে’

বরিশাল: বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন বলেছেন, ফৌজদারি ঘটনা কখনও তামাদি হয় না, দোষীদের বিচার হবেই। তাই ঘটনা যখনই ঘটুক না কেন সাক্ষী থাকলে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব।

গত কয়েকমাসে বরিশালে মামলার পরিমাণ বেড়েছে, তার মানে এই নয় অপরাধমূলক ঘটনা বেড়েছে। এখানে বিগত দিনে ভয়ে যারা কথা বলা কিংবা বিচার চাওয়ার সাহস পাননি, তারাও এখন মামলা দিচ্ছে এবং আইনের সহযোগিতা চাচ্ছে। আমরা ঘটনাগুলোর তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে কাজও করছি।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় পুলিশ সুপার আরও বলেন, ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৪ হাজার ২২৫ জন মাদক মামলার আসামি। আমরা এদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছি, সেইসঙ্গে নতুন যারা জড়িত কিন্তু এখনও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, তাদের বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছি। আর এ পুরো বিষয়ে তথ্য নেয়ার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে পুলিশ, র‍্যাব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে অভিযান চালাচ্ছে তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার (বহনকারী) ও ক্ষুদ্র কারবারিরা ধরা পড়ছে। এদের পেছনে গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। তবে সমাজের যে কোনো অসংগতি দূর করতে হলে সাধারণ নাগরিকসহ সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। পাশাপাশি সমাজকে ভালো রাখতে আইনশৃঙ্খলা ব্যত্যয় না ঘটে সেদিকে খেয়াল রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে হবে।

পুলিশ সুপার বলেন, আমরা জন-পুলিশিং ব্যবস্থার মাধ্যমে, আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী, অথবা মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে, জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।  

বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সুশান্ত ঘোষের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন বর্তমান সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপন।

বক্তব্য রাখেন বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, কোষাধক্ষ্য মো. নুরুজ্জামানসহ সাংবাদিকবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৪
এমএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।