ঢাকা: পুলিশের ২৫০ জন্য উপপরিদর্শক এর অব্যাহতিতে রাজনৈতিক কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব)।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর তৃতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কিছুক্ষণ আগে পুলিশ একাডেমি থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে ২৫০ জন উপ-পুলিশ পরিদর্শককে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। কোন ধরনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শৃঙ্খলা একটা বড় ধরনের সজ্ঞা। এর পরিধি ব্যাপক। কাকে কোন ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য অব্যাহতি দেওয়ার হয়েছে সেটা একাডেমি ভালো বলতে পারবে। আমি তাদের এই প্রক্রিয়াটা পুরোপুরি জানিনা। এই সংখ্যাটা পূরণের জন্য আমরা ইতিমধ্যে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা এ নিয়োগ সম্পন্ন করবো।
এটা আইন-শৃঙ্খলার জন্য বড় ধাক্কা কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা বড় কোনো ধাক্কা নয়।
তাদের এক ধরনের রাজনৈতিক পরিচয় আছে তাদের সে বিষয় আমলে নিয়েই এই অব্যহতি কিনা এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, তাদের একাডেমিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য বের করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশিও বের হয়। অনেক সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য পুরো কোর্সও বের করে দেওয়া হয়। ডিসিপ্লিনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজ নয়। এখানে তো সংখ্যা কম। যদি দেখা যেতো পুরো ব্যাচের ভিতর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ থাকে তাহলে পুরো ব্যচকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। ডিসিপ্লিন বিষয়টা অনেক বড় সেটা আমরা ব্যাখা করতে পারবো না। এখানে তাদের অব্যাহতির বিষয় কোন রাজনৈতিক কারণ নেই। এখানে যারা একাডেমিক ইন্সট্রাকটর আছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন।
কি পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের ৮০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিটাও উদ্ধার করার পথে রয়েছে।
অবৈধ অস্ত্রের উদ্ধার অভিযান চলছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কি পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সে সংখ্যাটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও আমরা সংখাটা এখানে বলবো না। একেকটি বাহিনী উদ্ধার অভিযান করছে। পুলিশ ব্রিফ করলে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা শুধু থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করছি না। অন্যান্য অবৈধ অস্ত্রও উদ্ধার করছি। আইজিপি এখানে বলেছেন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের ৮০ শতাংশ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু অবৈধ অস্ত্রের পরিমাণ তো আমাদের জানা নেই।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আরও সচেষ্ট হতে হবে। অপরাধী ও আন্দোলন সমাবেশে উস্কানিদাতাদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করা হতে পারে। বিভিন্ন দাবিদাওয়া বিষয়ে রাস্তায় সমাবেশ না করে দাবিদাওয়া সংক্রান্ত একটি কমিটি সরকার করে দিয়েছে। ওই কমিটির সঙ্গে তারা আলোচনা করতে পারবে। রাস্তাঘাটে সমাবেশ করতে গেলে যানজটসহ নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এতে সবাই ভুক্তভোগী হয়। জনভোগান্তি দূর করতে শাহবাগ মোড়ের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা সমাবেশ করলে জনভোগান্তি অনেকটা কমবে। এ জন্য সবাইকে আমি রিকোয়েস্ট করবো শাহবাগের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সবাই ব্যবহার করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২,২০২৪
জিসিজি/এমএম