ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চুরির ১০ মাস পর মালামাল উদ্ধার করল পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
চুরির ১০ মাস পর মালামাল উদ্ধার করল পুলিশ

ঢাকা: গত জানুয়ারি মাসে রাজধানীর হাজারীবাগের একটি ইলেক্ট্রনিক্স দোকানের টিনের চাল কেটে টেলিভিশনসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যায় একটি চোর চক্র। এ ঘটনার ১০ মাস পরে চুরির মালামালসহ চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পাশাপাশি চুরির মালামাল বিক্রি করা আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হাজারীবাগ থানা।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দিনগত রাতে কামরাঙ্গীচরের মাহাদীনগরের একটি বাসা থেকে এবং মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোরে হাজারীবাগের বোরহানপুরের একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- মো. বশির (২৮), মো. জাবেদ (৩০) ও মো. জুয়েল (৩২)। তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৩২ ইঞ্চি পাঁচটি টেলিভিশন উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় সোমবার (২১ অক্টোবর) মো. কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় একটি চুরির মামলা করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারি মাসে হাজারীবাগ বাজার মসজিদ মার্কেটে ‘গোল্ডেন প্লাস ইলেকট্রনিক্স’ নামে একটি দোকানের টিনের চাল কেটে চুরি করে চোর চক্র। এ সময় তারা দোকানে থাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচটি টেলিভিশন, একটি সিসি ক্যামেরা ও নগদ টাকাসহ বেশকিছু ইলেক্ট্রনিক্স মালামাল চুরি করে। দোকানের সেলসম্যান ও মামলা বাদী কামাল হোসেন তাৎক্ষণিক তার মালিক মাসুদ রহমানকে বিষয়টি অবগত করেন। বাদী ও দোকানের মালিক আশপাশের অন্যান্য ডিলারদের সঙ্গে আলোচনা করে চোরকে শনাক্ত ও চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার করার জন্য ডিলারদের নিয়ে খোঁজ করতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে বিশ্বস্ত সূত্রে তারা জানতে পারেন বশির নামে একজন তাদের ইলেক্ট্রনিক্স দোকানে চুরি করেছেন। পরে বাদী বিষয়টি রোববার (২০ অক্টোবর) হাজারীবাগ থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বশিরের অবস্থান শনাক্ত করে। পরে ২১ অক্টোবর দিনগত রাত ৩টার দিকে কামরাঙ্গীচর থানা পুলিশের সহায়তায় কামরাঙ্গীচরের মাহাদীনগরের একটি বাসা থেকে বশিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বশির চুরির কথা স্বীকার করেন এবং তার হেফাজত থেকে ওই দোকানের দুটি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন উদ্ধার করে পুলিশ। বশিরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তখনই পুলিশ তার সহযোগী জাবেদ নামে আরও একজনকে আটক করে। বশির ও জাবেদ জানায় চুরি হওয়া অন্যান্য মালামাল তারা হাজারীবাগের জুয়েল নামের একজনের কাছে বিক্রি করেছেন। পুলিশ তখন হাজারীবাগের বোরহানপুরের একটি বাসা থেকে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে জুয়েলকে আটক করে এবং তার হেফাজত থেকে ওই দোকান থেকে চুরি হওয়া আরও তিনটি ৩২ ইঞ্চি টেলিভিশন উদ্ধার করে।

পরে তাদের তিনজনকে চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।