ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাড়ছে রোহিঙ্গা—কতদিন খাওয়ায়ে-পরায়ে রাখব, প্রশ্ন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
বাড়ছে রোহিঙ্গা—কতদিন খাওয়ায়ে-পরায়ে রাখব, প্রশ্ন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

ঢাকা: প্রতিদিন রোহিঙ্গারা আসছে, দিন দিন তাদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা আর কতদিন তাদের খাওয়ায়ে-পরায়ে রাখব বলে প্রশ্ন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্কের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, আমাদেরই অনেক জনগণ, এর ভেতর কীভাবে আমরা রোহিঙ্গাদের এতদিন রাখব? প্রতিদিন রোহিঙ্গা দুই-চারজন করে আসছে, তাদের সংখ্যা বাড়ছে, আমরা কতদিন তাদের খাওয়ায়ে-পরায়ে রাখব? ফলে তারা যেন দ্রুত তাদের দেশে ফেরত যেতে পারে, সে ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছি। এ ব্যাপারে তারা সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আপনারা জানেন, বর্ডার কিন্তু এখন আরাকান আর্মিদের দখলে চলে গেছে। মিয়ানমার আর্মি পিছনে হটে গেছে। এখন এখানে অন্য ধরনের সমস্যা শুরু হয়ে গেছে। এ বিষয় তারা সহযোগিতা করতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের খাওয়া-পরার জন্য আমাদের প্রচুর খরচ হচ্ছে। এদের একটি অংশ অন্য দেশেও নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটা করা যাচ্ছে না। একটি দেশ কিছু রোহিঙ্গাদের নিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সংখ্যা এত কম যে, বলার মতো না। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আসছে। তারা একটি রিপোর্ট দেবে। তাদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আমরা রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেব।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা জাতিসংঘের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছি। যদিও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আমাদের সাহায্য করছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এটি অনেক কম।

তিনি বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমারে সহিংস পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আরও কিছু রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। সেজন্য জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণে আমরা চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্কের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন—বাংলাদেশস্থ জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধি অফিসের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান, জেনেভাস্থ অফিস অব দ্য ইউএন হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওএইচসিএইচআর) এর এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন, জেনেভাস্থ অফিস অব দ্য ইউএন হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওএইচসিএইচআর) এর মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি, জেনেভাস্থ অফিস অব দ্য ইউএন হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওএইচসিএইচআর) এর মানবাধিকার কর্মকর্তা লিভিয়া কোসেঞ্জা।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম এনডিসি, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান এনডিসি, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।