ঢাকা: শহীদ নূর হোসেনের স্মরণে ও ‘অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ দাবিতে রোববার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তানে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিপরীতে একই দিনে ওই স্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
অন্তর্বর্তী সরকারও আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি পালন করতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমন অবস্থায় রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন যদি সমাবেশ করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা সেটি কঠোরভাবে প্রতিহত করব। নগরীর শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য ডিএমপি বদ্ধপরিকর। সেরকম প্রস্তুতি আমাদের থাকবে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো সমাবেশ করার জন্য ডিএমপি থেকে অনুমতি নেওয়ার ব্যাপার রয়েছে। অনুমতি ছাড়া কেউ সমাবেশ করার চেষ্টা করলে আমরা সেটা কঠোর হস্তে দমন করব। এ নিয়ে আমাদের নিজস্ব পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
এর আগে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে দলের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে আওয়ামী লীগ জানায়, আগামী রোববার (১০ নভেম্বর) শহীদ নূর হোসেনের স্মরণে ও ‘অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ দাবিতে জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি।
এর বিপরীতে শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পেজে জানায়, ‘পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে’ আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টায় জিরো পয়েন্টে গণজমায়েত করবে তারা।
এদিকে আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেওয়া হবে না বলে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে বলেন, আওয়ামী লীগ বর্তমানে একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই ফ্যাসিবাদী দলকে বাংলাদেশে কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে দেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরো লেখেন, আওয়ামী লীগ তার বর্তমান রূপে একটি ফ্যাসিবাদী দল। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশ নিয়ে যে কেউ র্যালি, সমাবেশ ও মিছিল করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পূর্ণ শক্তির মুখোমুখি হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও এ বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘গণহত্যাকারী ও নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচি করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ’
বাংলাদেশ সময়: ২৩২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৪
এসসি/এমজেএফ