ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষকবান্ধব সেচ নীতিমালার দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষকবান্ধব সেচ নীতিমালার দাবি

রাজশাহী: বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সেচ নীতিমালা পরিবর্তন এবং কৃষকবান্ধব পানি ব্যবস্থাপনার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জেলার তানোর, গোদাগাড়ী ও পবা উপজেলাসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা অংশ নেন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে রাজশাহীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচি থেকে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে থাকা বিএমডিএ-এর ডিপ অপারেটর নিয়োগে কৃষক সমিতির মধ্য থেকে নির্বাচন করা এবং বরেন্দ্র ডিপ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কৃষক সংগঠনকে দেওয়ারও দাবি জানান কৃষকরা।

কৃষকরা বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষির উন্নয়নের লক্ষ্যই বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) গঠন করা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির কাজ ছিল কৃষকের সমস্যা সমাধান করা। কিন্তু বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কিছু বৈষম্যমূলক নিয়ম নীতির কারণে কৃষক পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। খাস পুকুর, দীঘি এবং জলাধারগুলো লিজ প্রথার নামে প্রভাবশালীরা লিজ নেয়, সেখানে প্রান্তিক মানুষসহ কৃষকের পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে বরেন্দ্রের ডিপগুলোকে প্রভাবশালীদের ডিপের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডিপের অপারেটর নিয়োগে কৃষক সমিতিকে কোনো গুরুত্বই দেওয়া হয় না। বরেন্দ্র অফিস থেকে ডিপ অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়। যার ফলে সঠিক সময়ে পানি না পাওয়া, পানির দাম বেশি নেওয়াসহ নানান অনিয়ম দেখা দেয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কৃষক ও কৃষক সংগঠনের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম বলেন, কথা ছিল ডিপগুলোকে কৃষক সংগঠন পরিচালনা করবে। কিন্তু তা না করে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেন-দরবার করে প্রভাবশালীরাই ডিপ অপারেটর নিয়োগ পান।

কৃষক খায়রুল ইসলাম বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের ডিপ অপারেটররা স্থানীয় কৃষকদের জিম্মি করে রেখেছে। তাই অপারেটর নিয়োগে কৃষক সংগঠনকে দায়িত্ব দিতে হবে।

মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সবুজ সংহতির সভাপতি এবং নদী ও পরিবেশ গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, আদিবাসী যুব নেত্রী সীমা মার্ডি, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুগ্ম সদস্য সচিব ও ইয়্যাস-এর সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, কৃষক জিতেন্দ্রনাথসহ ভুক্তভোগী কৃষকরা বক্তব্য রাখেন। কর্মসূচি পরিচালনা করেন রাজশাহীর বেসরকারি উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর গবেষক ও আঞ্চলিক সমন্বয়কারি মো. শহিদুল ইসলাম।

কর্মসূচি শেষে ৫ দফা দাবিতে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
এসএস/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।