ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কাকরাইল মসজিদ-ইজতেমা মাঠ সাদপন্থিমুক্ত করার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
কাকরাইল মসজিদ-ইজতেমা মাঠ সাদপন্থিমুক্ত করার দাবি

ঢাকা: কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ সব সময় ওলামা-বিদ্বেষী সাদপন্থিমুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত ‘দাওয়াত ও তাবলিগ হেফাজতের লক্ষ্যে’ এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জাননো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাওলানা মো. ফজলুল করীম কাসেমী বলেন, সাদপন্থিদের কথায় ‘মূলধারা’ বলতে পৃথিবীতে কোনো ধারা নেই। তাবলিগের এই মেহনতের কাজ ওলামায়ে দেওবন্দের সূর্যসন্তান হজরত মাওলানা ইলিয়াস (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) শুরু করেছেন, এখনো হাক্কানি ওলামায়ে কেরামগণ এই মকবুল কাজের আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন, তারাই নাওয়াত ও তাবলিগের মূলধারা, এর বাইরে কোনো ধারা নেই।

তিনি বলেন, ওলামা-বিদ্বেষী, টঙ্গীতে মানুষ হত্যাকারী, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সাদপন্থিদের কাকরাইল ও টঙ্গীতে কোনো অধিকার নেই, থাকার কোনো প্রশ্নই নেই। দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের কোনো পক্ষ নেই। বরং, একটাই পক্ষ, তা হলো হজরত মাওলানা ইলিয়াস রহমতুল্লাহি আলাইহির কর্মপদ্ধতি অনুসরণকারী ওলামায়ে হক্কানির পক্ষ।

ফজলুল করীম কাসেমী আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যারা দুর্নীতিবাজদের তেলমর্দন করে মদদ দিয়েছেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দলীয় কর্মী হিসেবে মাঠে ময়দানে কাজ করেছেন, আজ প্রায় ষাটের অধিক আলেম-ওলামাসহ দুই হাজারের অধিক শহীদানের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত নতুন বাংলাদেশে আমাদের আস্থার প্রতীক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেস্টামণ্ডলী এবং সমন্বয়কদের আশেপাশে ওই সা'দপন্থিদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সুবিধাভোগী মতলববাজদের কোনো ষড়যন্ত্রমূলক পরামর্শে কান দেওয়া যাবে না। কাকরাইল মসজিদ এবং টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ সব সময়ের জন্য ওলামা-বিদ্বেষী সাদপন্থিমুক্ত রাখতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা সানাউল্লাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।