ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিষাক্ত খাবার খেয়ে ভাই-বোনের মৃত্যুর অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৪
বিষাক্ত খাবার খেয়ে ভাই-বোনের মৃত্যুর অভিযোগ

খুলনা: খুলনায় বিষাক্ত খাবার খেয়ে ভাই-বোনের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

মৃত দুই শিশু হলো, রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী মাসুদ রানার শিশুকন্যা ইরানী (৫) ও ছেলে মো. আব্দুল গনি (৪)।

নিহত দুই শিশুর বাবা মাসুদ রানা স্থানীয় বাজারের মুদি দোকানদার। মা নার্গিস বেগম বাড়ি বাড়ি কাজ করেন। ওই দম্পতির মাছুরা নামের ৮ বছর বয়সী আরেক কন্যাসন্তান রয়েছে। একসঙ্গে দুই সন্তানের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা-মা।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে মাসুদ রানার দুই সন্তান বাজার থেকে কেনা খোলা মোয়া ও আপেল খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে দুজনই অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরদিন বুধবার সকালে তাদের খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।

অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এরপর তাদের নেওয়া হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে ইরানী ও সন্ধ্যায় ছেলে আব্দুল গনি মারা যায়।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, রাতে মাসুদ রানা কিছু ফল কিনে নিয়ে বাড়িতে যান। শিশু দুটি খাবার খাওয়ার পর আপেল খায়। এর কিছুক্ষণ পর তারা দুজন অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে তাদের নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য তাদের দুজনকে প্রথমে খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি ঘটলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযাগ জানাতে আসেননি। অভিযোগ দায়ের করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, দুই শিশুর মরদেহ ময়নতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৪
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।