ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘নারী-পুরুষকে মানসিক দাসত্ব থেকে বেরোনোর আহবান জানিয়েছেন বেগম রোকেয়া’

ইউনিভার্সিটি করেস্পন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২৪
‘নারী-পুরুষকে মানসিক দাসত্ব থেকে বেরোনোর আহবান জানিয়েছেন বেগম রোকেয়া’

নারী শিক্ষার পাশাপাশি বেগম রোকেয়া নারী অগ্রযাত্রাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি বৈষম্য ও নিপীড়নহীন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন।

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিবাদ করতে শেখায় না। এই ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে বেগম রোকেয়ার জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা উঠে আসে।

এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, বিশিষ্ট মানবাধিকার নেত্রী শীপা হাফিজা, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের পরিচালক শাহনাজ সুমী, কর্মজীবী নারী’র হাসিনা আখতার, স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের চন্দন লাহিড়ী; ঢাকা ওয়াইডব্লিউসিএ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হেলেন মনীষা সরকার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীনসহ প্রমুখ।

মানবাধিকার নেত্রী শীপা হাফিজা বলেন, রোকেয়া এমন এক সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন যে সমাজে অজ্ঞতা থাকবে না।  বৈষম্য ও নিপীড়ন থাকবে না। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকল শ্রেণীর নারী-পুরুষকে কাজ করতে হবে। আজকের শিক্ষাব্যবস্থা মানুষের প্রতি হওয়া অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শেখায় না, এমন ব্যবস্থার সংস্কার হওয়া প্রয়োজন।
 
নারী প্রগতিসংঘের পরিচালক শাহনাজ সুমী বলেন, রোকেয়া শুধু নারী শিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে নন বরং তার লেখার মাধ্যমে নারী আন্দোলনের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী নারীর অগ্রযাত্রাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। শুধু নারী আন্দোলন নয়, সমাজ সংস্কারক হিসেবে দেশের অগ্রগতির লক্ষে নারী-পুরুষকে মানসিক দাসত্ব থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

চন্দন লাহিড়ী বলেন, অনেক দীর্ঘ সংগ্রামের পর আজ যখন রংপুরে প্রতিষ্ঠিত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের কথা আসে, তা অত্যন্ত দুঃখের। ১৪০ বছর আগে রোকেয়া থেকে আয়শা খানমের সময়কালে নারীমুক্তির লক্ষ্যে যে নারী আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অর্জন ও অগ্রগতি কতখানি হয়েছে, আমাদের তা দেখতে হবে।

শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন বলেন, সম্প্রতি রোকেয়ার প্রতি অবমাননার ঘটনা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় পুরুষতন্ত্র শুধু পুরুষরা নয়, ক্ষেত্রবিশেষে নারীরাও পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা লালন করে থাকেন।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, রোকেয়া যে  নারী-পুরুষের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন, তার উত্তরসূরী হিসেবে সেই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাব। ১৪৫ বছর আগে নারী মানুষ হওয়ার জন্য আন্দোলন করত। এখন নারীকে মর্যাদা পাওয়ার জন্য ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৪
এফএইচ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।