ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিবন্ধী ছেলেকে হত্যার দায়ে মা গ্রেপ্তার

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
প্রতিবন্ধী ছেলেকে হত্যার দায়ে মা গ্রেপ্তার

সাভার (ঢাকা): সাভারে হতাশাগ্রস্ত হয়ে প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মা ইফরাত জাহান নাসরিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে সাভারের রাজাসন পলুর মার্কেট এলাকার আমির হোসেনের ভাড়া বাড়ি থেকে আহাম্মদ উল্লাহ আলিফ (০৪) নামে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইফরাত জাহান নাসরিনকে আটক করেছে সাভার থানা পুলিশ।

আটক ইসরাত জাহান নাসরিন ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর মাদ্রাজ গ্রামের আরিফুর রহমান হাসানের স্ত্রী। তিনি স্বামী আরিফুর রহমানের সঙ্গে সাভারের রাজাসনের পলুর মার্কেট এলাকায় বসবাস করতেন।

নিহত শিশুর বাবা আরিফুর রহমান আসাদ বলেন, আমার মেয়ে নাজমুন নাহার, স্ত্রী ইসরাত জাহান ও আমার প্রতিবন্ধী ছেলে আহাম্মদ উল্লাহসহ ওই ভাড়া বাসায় বসবাস করি। আমি নারায়ণগঞ্জের একটি ব্যাটারি কারখানায় চাকরি করি। গত ২৯ ডিসেম্বর বাড়ি মালিকের মাধ্যমে জানতে পারি আমার স্ত্রী প্রতিবন্ধী সন্তানকে ব্যাপক মারধর করছে। খবর পেয়ে আমি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হই। ততক্ষণে বাড়ির মালিক ও স্থানীয়রা দরজা ভেঙে আমার সন্তানের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। আমি রাত দেড়টার দিকে বাসায় ফিরে সন্তানের মরদেহ খাটের ওপর দেখতে পাই। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আমার সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

তিনি আরও বলেন, আমার প্রতিবন্ধী সন্তানের চিকিৎসাসহ সেবা করতে করতে আমার স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থতার কারণেই হয়তো নিজ সন্তানকে আমার স্ত্রী হত্যা করেছে।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) জুয়েল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।