ঢাকা: শোষিত ও নির্যাতিত আমাদের পূর্ব পুরুষেরা ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট বৃটিশ ভারতকে বিভক্ত করে পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশটি সৃষ্টি করার পর হিন্দু ভারতের প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহর লাল নেহেরু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু-কাম্মিরের মতো তিন দিক ভারত পরিবেষ্টিত পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশটিও দখল করার পরিকল্পনা করেন যাহা নেহেরু ডকট্রিন নামে অভিহিত। মুসলিম লীগ ক্ষমতায় থাকার কারনে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত পন্ডিত জওহর লাল নেহেরু এই ভূখন্ডটি দখল করতে সাহস করেননি।
মুসলিস লীগের ১১৮তম প্রষ্ঠিতা বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পার্টির প্রতিষ্ঠাতা নবাব খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুরের ঢাকার বেগম বাজারস্থ মাজার জিয়ারত শেষে অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কথা বলেন।
নেতারা বলেন, ১৯৭১ সালের পর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তার বাবা অসমাপ্ত পরিকল্পনা কার্যকর করতে উদ্যোগী হন। কিন্তু বাংলাদেশের আপামর মুসলিমদের মধ্যে হিন্দুত্ববাদ বিরোধী মনোভাব তীব্র থাকায় ইন্দিরা গান্ধী সফল হয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিপ্লবের পর থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ইন্দিরা গান্ধীর পক্ষ পুটে থাকা শেখ হাসিনা দিল্লিতে অবস্থানকালে ভারতীয় গোয়েন্দারা শেখ হাসিনার মগজ ধোলাই করে তাকে দিল্লির সেবাদাসীতে রূপান্তরিত করে। এরপর দেশবিরোধী জেনারেল মঈন ইউ আহমদকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে তার মাধ্যমে দিল্লি ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের ওপর নগ্নভাবে আধিপত্য ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে রাখে। আধিপত্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে দিল্লি অনুগত শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেল ৫ আগস্ট ব্রাহ্মণ্যবাদী কর্তৃত্ব থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয়। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দিল্লির এদেশীয় বেতনভুক্ত এজেন্টরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র ও নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে যার সর্বশেষ আলামত সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা।
পতিত সরকারের দোসর ও দিল্লির অনুগতরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন দলে অনুপ্রবেশ করে জাতীয় ঐক্য ভন্ডুল করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় দেশে রাজনৈতিক যে বিভাজন সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সে সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে মুসিলম লীগ নেতারা বলেছেন যে, নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জনগণের মধ্যে রাষ্ট্র নিয়ে যে ঐক্য আজ গড়ে উঠেছে তা যদি ধরে রাখতে পারি তাহলে স্বাধীনতা রক্ষা করতে আমরা সর্বদা সক্ষম থাকবো ইনশাল্লাহ।
পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজীজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে মাজার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আতিকুর ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আফতার হোসেন মোল্লা, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, শ্রম সম্পাদক ইঞ্জি. মো. ওসমান গণি, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, দপ্তর সম্পাদক খোন্দকার জিল্লুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক আবুল আলিম, ছাত্র মুসলিম লীগের সভাপতি মো. নূর আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. কাওশার আহম্মদ।
বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১,২০২৪
টিএ/এএটি