ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ছাত্র আন্দোলন

চুয়াডাঙ্গায় আ.লীগ নেতাকর্মীদের নামে ৯ মামলা, অধিকাংশ ধরাছোঁয়ার বাইরে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
চুয়াডাঙ্গায় আ.লীগ নেতাকর্মীদের নামে ৯ মামলা, অধিকাংশ ধরাছোঁয়ার বাইরে

চুয়াডাঙ্গা: গত ৫ আগস্টের পর চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন থানায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে নয়টি মামলা দায়ের হয়েছে। জেলার পাঁচটি থানার মধ্যে দামুড়হুদা মডেল থানায় কোনো মামলা হয়নি।

বাকি চারটি থানার মধ্যে সদর থানায় পাঁচটি, আলমডাঙ্গায় দুটি, জীবননগরে একটি ও দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাঁচটি থানায় খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
 
মামলা হওয়া চারটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নয়টি মামলার বেশির ভাগ আসামি পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। মামলাগুলো তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। এসব মামলায় দুই শতাধিক আসামি রয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, প্রাণনাশের চেষ্টা, বিভিন্নভাবে হুমকি।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের দিনে ছাত্র জনতার মুখে পড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে পালিয়ে যান স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ নেতাকর্মীরা। এরপরই বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগীরা। কিন্তু মামলার অধিকাংশ আসামিই রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

যদিও জেলা পুলিশের দাবি, মামলার কিছু আসামি ধরা পড়েছে। আবার কিছু আসামি আদালতের মাধ্যমে জামিন পেয়েছেন। মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযানের পাশাপাশি আইনি তদন্ত অব্যাহত রেখেছে জেলা পুলিশ।

একটি মামলার বাদী ও ছাত্র আন্দোলনকারী হাসনা জাহান খুশবু জানান, সদর থানায় তিনি একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেখানে ৭৩ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু অন্যতম আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আবার যে দু’একজন গ্রেপ্তার হচ্ছেন তারাও ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন।


তার অভিযোগ, এখনো মামলার আসামিরা বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি ও বাজে মন্তব্য করছেন। মামলা করেও নিরাপত্তা নেই।

চুয়াডাঙ্গা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক বলেন, যারা প্রকৃত আসামি আমরা তাদের দ্রুত বিচার চাই। যে সব আওয়ামী লীগের নেতাদের নামে মামলা হয়েছে তাদের গ্রেপ্তার এবং বিচার চাই। অপরাধ করেনি এমন কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য প্রশাসনকে খেয়াল রাখতে হবে।


তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের ভেতরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট থাকায় সুযোগ পাচ্ছেন আসামিরা। মামলার বাদীদের কিছু হলে তার দায়ভার নিতে হবে প্রশাসনকে।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, মামলার আসামিদের ধরার সব প্রক্রিয়া চলমান আছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করে স্বাক্ষ্যপ্রমাণসহ আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে। আসামিদের ধরার জন্য বিভিন্ন মনিটরিং কমিটি আছে তারা পরামর্শ দিচ্ছেন। মামলার তদন্ত কাজও চলছে। অচিরেই আদালতে এসব মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়:১১০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৫

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।