সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে জামায়াতকর্মী ওয়ারেছ আলী (৫৫) হত্যার ১২ বছর পর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৬৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিহত ওয়ারেছ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এনায়েতপুর থানা আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহম্মেদ মোস্তফা খান বাচ্চু, সহ-সভাপতি রাসেদুল ইসলাম সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বিএসসি ও জায়নাল আবেদীনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৩০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৩৫ জনকে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু তালেব আকন্দ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এনায়েতপুর থানা আমলী আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক মামলাটি আমলে নিয়ে এনায়েতপুর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, জামায়াতকর্মী ওয়ারেছ আলী ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর সকালে এনায়েতপুর হাটে কাপড় বিক্রি শেষে হাফেজ আল-আমিন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাড়িতে আসছিলেন। পথে এনায়েতপুর থানার দক্ষিণ পাশে সোনালী ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে আসামিরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় ওয়ারেছ আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তার সঙ্গে থাকা কাপড় বিক্রির ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। এরপর জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সঙ্গে থাকা হাফেজ আল-আমিনকে পিটিয়ে আহত করে চলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ওয়ারেছ আলীকে উদ্ধার করে খাজা ইউনুস আলী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওয়ারেছ আলীর ছেলে মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার বাবাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিল তারা। হত্যার ঘটনায় মামলা না করতে তারা আমাদের হুমকি দেয়। পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের পরামর্শে মামলা করা হয়নি। কিন্তু সেই সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অবশ্যই মামলা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৫
আরএ