ঢাকা: প্রায় সাড়ে ৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পরিবারের সদস্যসহ মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দীন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার রাজধানীর বনানী থানায় দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন-ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দীন আহমেদ, সহ-সভাপতি আলিয়া ফাতেমা (জালালের স্ত্রী), সাধারণ সম্পাদক তালহা আহমেদ (জালালের ছেলে) ও যুগ্ম-সম্পাদক রাদিয়া আহমেদ (জালালের মেয়ে)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জালালউদ্দীন আহমেদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ও তার স্ত্রী আলেয়া ফাতেমা ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে সমবায় ব্যবসা শুরু করেন। ২০০৫ সালের ১৭ জুলাইয়ে এটি নিবন্ধিত হয় এবং রাজধানীর বনানীর ব্লক সি, সড়ক নং-১৭, ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্সের ৪এফ-২ নং অ্যাপার্টমেন্টে যাত্রা শুরু করে।
মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দীন আহমেদ গ্রাহকদের আশ্বাস দেন, মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অনুকূলে এফডিআর এর মাধ্যমে টাকা রাখলে কেউ কখনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এমন আশ্বাসে প্রতি লাখে দুই হাজার টাকা লাভের আশায় জালাল উদ্দীন আহমেদের কাছে গ্রাহকরা আমানত রাখেন।
এভাবে তিনি এক হাজার ৪৪৯ জন বিনিয়োগকারীর মোট ৫৯ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৪৫৪ টাকা ওই মাল্টিপারপাসের নাম রশিদের মাধ্যমে জমা নেন। কিন্তু উক্ত সোসাইটির নামের ব্যাংক হিসাব কোন অর্থ জমা না দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা আত্মসাত করে পরবর্তী সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত তার ছেলে ও মেয়ের কাছে এ অর্থ পাচার করেন।
যা দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় এই মামলা দায়ের হয়।
এর আগে চলতি বছরের আগস্ট মাসে প্রাক্তন ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রায় ৮২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
** র্যাব কর্মকর্তাসসহ ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪