সহকর্মীরা সেবার তার নাম দিলেন ‘অগ্নি করেসপন্ডেন্ট’! কোথাও আগুনের ঘটনা ঘটলেই ডাক পড়ে। ডাক পড়ে, বললে ভুল হবে আসলে তিনি নিজেই ফোন করে বলেন, ‘আগুন লেগেছে, আমি স্পটে যাচ্ছি’।
ঢাকায় দুর্ঘটনা ঘটলেই ছুটে যান। একদিন নগরীর তিনটা বড় দুর্ঘটনার তিনটিরই স্পট কাভারেজ ছিলো তার। রাতে নিউজরুমে ফিরে যখন সেকথা বলছিলেন, সহকর্মীরা ঠাট্টা করে বললেন তাহলে নাম পাল্টে হয়ে যাক ‘দুর্ঘটনা করেসপন্ডেন্ট’। সহকর্মীদের মধুর ঠাট্টা মধুর করে গায়ে মাখিয়েই পথ চলেন তিনি। এরপর আরও নানা নাম তাকে দেওয়া হয়েছে। হরতালের স্পট কভার করার জন্য তিনি প্রস্তুত। কোথাও সংঘর্ষ চলছে তাও যেতে বাধা নেই।

২০১৪’র গোড়ার দিনগুলোতে নির্বাচন কমিশনে দক্ষতার প্রমাণ দেখান। নির্বাচনের ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে তার দক্ষতার ওপর ভর করে বাংলানিউজ প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। নির্বাচন শেষে কমিশনের গণ্ডির ভেতরেই থেকে যান। দায়িত্ব পান পরিকল্পনা কমিশন কভার করার। কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, দেশের উন্নয়নের বড় বড় কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তার রিপোর্ট অনেকেরই নজর কেড়েছে।
স্পট কাভারেজের পাশাপাশি এক্সক্লুসিভ খবর বের করে আনার ক্ষেত্রেও তার দক্ষতার প্রকাশ দেখেছেন বাংলানিউজের অগুনতি পাঠক। ছুটির দিনেও অ্যাসাইনমেন্টে তার আপত্তি থাকে না। আবার হাতে কাজ না থাকলে ফোন করে কোনো না কোনো অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে নিতে পছন্দ করেন।
আর এসব কারণেই ২০১৪ সালের বর্ষসেরা কর্মী হিসেবে তার নামটিই ঘোষণা করেছেন বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন।
শিক্ষানবিস সাংবাদিক হিসেবে বাংলানিউজে যোগ দেওয়ার পর দু’বছরও পূর্ণ হয়নি এই কর্মীর। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুর থেকে এসে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন সাংবাদিকতায়। চেষ্টা আছে তাই এগিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট হিসেবে পদোন্নতিও পেয়েছেন।
তিনি মফিজুল সাদিক।
বাংলানিউজের সকল কর্মীর পক্ষ থেকে মফিজুল সাদিককে প্রাণঢালা অভিনন্দন।
বাংলাদেশ সময় ১৬৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪