ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১৩ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

ঈশ্বরদীতে এক বছরে ২৭ হত্যা-আত্মহত্যা

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪
ঈশ্বরদীতে এক বছরে ২৭ হত্যা-আত্মহত্যা

ঈশ্বরদী (পাবনা): ২০১৪ সালে ঈশ্বরদীতে ২৬টি হত্যা-আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

ঈশ্বরদী থানায় দায়ের করা মামলা ও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাস।



পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি দাশুড়িয়ার ভবানীপুরে আবুল ওরফে আবুকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ২৭ জানুয়ারি শহরের পশ্চিম টেংরী এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন।

২৪ ফেব্রুয়ারি মহাদেবপুর গ্রামে সাত বছরের শিশু রাহিমকে গলা কেটে হত্যা করে এক প্রতিবেশী। ২৯ মার্চ শহরের নূরমহল্লার শিক বিশ্বরঞ্জন রায়ের মেয়ে কাকলী রানী নির্মমভাবে খুন হন তার স্বামীর হাতে। ১৬ এপ্রিল মুলাডুলির গোয়ালবাথান পূর্বপাড়ায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাতিজার মারপিটে চাচা হাফিজুর রহমান খান নিহত হন। একই দিনে পাকশী যুক্তিতলা গ্রামে আদম আলীর স্ত্রী ডলি বেগম তার স্বামীর নির্যাতনে মারা যান।

২ মে দাশুড়িয়ায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নাহিদ ইসলাম নাহিদকে পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

১১ মে শহরের পিয়ারপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইয়ের হাঁসুয়ার কোপে খুন হন বকুল নামে একজন।

৮ জুন প্রতিবেশীর লাঠির আঘাতে ছলিমপুর কলেজের দপ্তরি কাম কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল জলিল জিন্নাহ খুন হন। ১৮ জুন সাহাপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হন এক ব্যবসায়ী। ২০ জুন পাকশীর একটি আমগাছ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাংলানিউজকে পুলিশ জানায়, পরিকল্পিতভাবে খুন করে মৃতদেহটি গাছে ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। ২১ জুন আওতাপাড়ায় সংঘর্ষে নিহত হন সিদ্দিক বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি।

৯ জুলাই ইপিজেডের পোশাক শ্রমিক সুকদেব হালদারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় তার ঘর থেকে। ২২ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা শাহানুর রহমান লিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন তার স্ত্রী শাহিনা খাতুন। পরে নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।

একই দিন তিলকপুর গ্রামের আবদুস সামাদ প্রামাণিকের ছেলে মো. কাহার ঢাকায় মেডিকেল কোচিং করতে গিয়ে বন্ধুদের হাতে খুন হন।

১ আগস্ট ট্রেনের টিকিট কাটা নিয়ে নিয়ে বিরোধের জেরে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে ঘটে ডাবল মার্ডারের ঘটনা। খুন হন জামাত আলী জুম্মত ও জীবন নামে দু’জন। ২২ আগস্ট সাঁড়া গোপালপুর নতুনপাড়ার ইরকোন সংলগ্ন বস্তিতে দুই বছরের শিশু মেহেদীকে গলা টিপে হত্যা করেন মাদক ব্যবসায়ী আছিয়া খাতুন।

২৫ আগস্ট শহরের রেলগেট দরিনারিচা এলাকায় যৌতুকের কারণে ফারহানা আক্তার ইভা নামে এক নারীকে খুন করেন তার স্বামী শাওন। ২৭ আগস্ট এনজিও কর্মী শরিফুল ইসলামকে নৃশংসভাবে খুন করে তার মৃতদেহ উল্টো করে মাটিতে পুঁতে রাখে দুর্বুত্তরা। ঈশ্বরদী-রাজশাহী সড়কের পালিদহ গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। ২৮ আগস্ট বন্ধুদের ছুরিকাঘাতে শহরের মশুরিয়াপাড়ায় খুন হন যুবলীগ কর্মী মুসা। ৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিপুকে তার বন্ধুরা হত্যা করে মৃতদেহের সঙ্গে ইট বেঁধে সাঁড়া এলাকার পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়।

১ সেপ্টেম্বর পাকশীতে যুবলীগ নেতা লাবলু খুন হন দুর্বৃত্তদের হাতে। ১২ সেপ্টেম্বর শহরের শৈলপাড়ায় সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বামী রায়হান আলী।

১ নভেম্বর বান্ধবীর সঙ্গে ফুর্তি করা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রবাসী সাঈদকে গলা কেটে হত্যা করেন তারই বন্ধু মেম্বর সাঈদ।

২৪ ডিসেম্বর স্বামীর নির্যাতনে মারা যান বাঘইল এলাকার সাইদুল ইসলামের মেয়ে রুমা। ওই দিন তার ১০ম বিবাহ বার্ষিকী ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।