বাগেরহাট: মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌরুট চালু না হওয়া পর্যন্ত সুন্দরবনের শ্যালা নদীর নৌপথ খুলে দিতে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। মংলা বন্দরকে সচল রাখতে শ্যালার নৌপথটি পুনরায় চালুর দাবিতে শুক্রবার (২ জানুযারি) বিকেলে মংলায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ করবে সংগঠনটি।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক শেখ আবুল কাশেম (মাস্টার) এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি জানান, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভূক্ত লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন মংলা শাখা অফিসে শুক্রবার বিকেল ৩টায় সমাবেশ এবং এ দাবিতে শহরে বিক্ষোভ করবে তারা।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এবং অন্যান্য নেতারা সমাবেশে ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জান গেছে।
৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ফার্নেস অয়েলবাহী ট্যাঙ্কার ডুবির পর থেকে ওই রুট দিয়ে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আবুল কাশেম জানান, শ্যালার নৌথটি বন্ধ থাকায় বাগেরহাটের শরণখোলা, সন্ন্যাসী, পিরোজপুরের কাউখালী, ঝালকাঠি ও মংলা রুটে তেলবাহী ও মালবাহী এক হাজারেরও বেশি ছোট বড় নৌযান আটকা পড়েছে।
ওইসব নৌযানে কর্মরত প্রায় ছয় হাজার কর্মচারী বর্তমানে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। পরিস্থিতি নিরসনে সরকারের কাছে দফায় দফায় তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করেছে।
তবে সরকার এ ব্যাপারে কোনো কর্ণপাত করছেন না। ফলে একদিকে যেমন মংলা বন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছে, একই সঙ্গে এ পেশার সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ওই নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, আমরা (নৌ শ্রমিকরা) কখনও আন্দোলনের নামে ভাঙচুর, অবরোধ বা জ্বালাও পোড়াও করিনা। কিন্তু নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য তাদের এখন আর আন্দোলনের বিকল্প থাকছে না।
ফেডারেশনের একাধিক নেতা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তাদের এ মুহূর্তে দাবি ঘষিয়াখালী নৌরুট দ্রুত খনন করে চালু করা এবং এ রুট যতদিন পর্যন্ত চালু না হবে শ্যালা নদী দিয়ে নৌযান চলাচল করতে দিতে হবে।
এ দাবি মানা না হলে শুক্রবারের সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে বলে জানান বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশ নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪