ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১৩ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

রেনু ও পোনার জেনেটিক্যাল অবক্ষয় রোধ করবে ব্রুড মাছ

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪
রেনু ও পোনার জেনেটিক্যাল অবক্ষয় রোধ করবে ব্রুড মাছ

ঢাকা: ভৌগোলিক কারণে মাছ চাষের জন্য অধিক উপযোগী এলাকাগুলোতে মাছের রেনু ও পোনার অতিরিক্ত চহিদা পূরণে উদ্যোগ নিয়েছে মৎস অধিদফতর।

এ লক্ষ্যে কার্প জাতীয় প্রজননক্ষম (ব্রুড মাছ) এবং দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের কৌলিতাত্ত্বিক গুণাগুণের উন্নয়ন করা হবে।



মৎস্য অধিদফতর সূত্র বলছে, বেসরকারি হ্যাচারিতে উৎপাদিত রেনু ও পোনার অনেক সময় জেনেটিক্যাল অবক্ষয় হয়। এতে উৎপাদিত পোনা পুকুরে ছাড়ার পরে মাছ আর বড় হয় না। এর প্রধান কারণ জেনেটিক্যাল অবক্ষয়। এটা  দূর করতে মৎস অধিদফতর এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।

মৎস উৎপাদন বাড়ানো, কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন, পোনা উৎপাদন এবং লালন-পালনে প্রযুক্তির উন্নতি করতেই এ ব্যবস্থা নিয়েছে অধিদফতর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত মাছের রেনু ও পোনা সংগ্রহ করে তা কৃষকদের হাতে সরবরাহ করা হবে।

আন্তঃপ্রজনন ও সংকরায়ণ সমস্যা নিরসন করে সরকারি মৎস বীজ উৎপাদন খামার এবং বেসরকারি হ্যাচারির মালিকদের কাছে গুণগত ব্রুড মাছ সরবরাহ করা হবে।

‘ব্রুড ব্যাংক স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী মৎস উৎপাদন বাড়ানো হবে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভৌগোলিক দিক বিবেচনা করে দেশের ২৭টি সরকারি মৎস বীজ উৎপাদন খামারে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

এছাড়া সারাদেশে পোনা বাজারজাতকরণের জন্য সুবিধাজনক স্থানের উপর ভিত্তি করে প্রকল্প এলাকা নির্বাচন করা হবে।

মৎস অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, বেসরকারি হ্যাচারিতে উৎপাদিত মাছের রেনু ও পোনার গ্রোথ কম। এর প্রধান কারণ জেনেটিক্যাল অবক্ষয়। এটা মূলত বেসরকারি হ্যাচারির অসচেতনতা এবং সনাতন পদ্ধতি অনুসরণ করা। ’

তিনি বলেন, ‘ব্রুড ব্যাংক স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় মাছের গুণগত রেনু ও পোনা উৎপাদন করা হবে। যাতে রেনু ও পোনা পুকুরে ছাড়ার পরে মাছ অনেক বড় হয়। ’

দেশের বিভিন্ন এলাকার ২৭টি সরকারি হ্যাচারিতে গুণগত মাছের পোনা ও রেনু উৎপাদন করা হবে বলে জানান মৎস অধিদফতরের মহাপরিচালক।

এদিকে মাছের উৎপাদন বাড়াতে নানা কাজ করা হবে ওই প্রকল্পের আওতায়। একই সঙ্গে এ প্রকল্পের আওতায় হ্যাচারি আইন-২০১০ বাস্তবায়ন করা হবে।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় মৎস খামারের সীমানা প্রাচীর ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ, হ্যাচারি ইউনিট, গ্যারেজ, গার্ড শেড ও স্টোর রুম নির্মাণ করা হবে।
থাকছে পুকুর খনন এবং পুকুর পাড়ের রিটেনিং ওয়াল নির্মাণের কাজও।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের আওতায় পানি সরবরাহ অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি কিছু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এতে ব্রুড মাছের গুণগত মান নির্ণয় সহজ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।