সাভার (ঢাকা): চাঁদার টাকা না দেওয়ায় সাভারে জীবননাশের শঙ্কায় পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক কৃষকলীগ নেতা।
সন্ত্রাসীদের হুমকিতে দিশেহারা পরিবারটি বাড়ি ছাড়া রয়েছে প্রায় ১৫ দিন ধরে।
জানা যায়, সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক ও তার তিন ব্যবসায়িক অংশীদার নিজ এলাকা উপজেলার আউকপাড়ায় মরহুম ডা. গোলাম মাওলার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ৮৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এ জমি ক্রয়ের পর থেকেই এ চাঁদা দাবিসহ বিভিন্ন হুমকি ধমকির মধ্যে পড়েন তারা।
ভুক্তভোগী কৃষকলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবার অভিযোগ করে বলেন, এ জমি ক্রয়ের পর থেকেই এলাকার চিহ্নিত ‘চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যু’ হাসান মিয়া ও তার সহযোগীরা মোটা অংকের টাকা দাবি করে। অন্যত্থায় এ জমি বিক্রি করতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেয় তারা। এতে ভূমিদস্যুদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় ‘মাদক ব্যবসায়ী’ বিএনপি নেতা বিল্লাল ও তার সহযোগীরা।
এ নিয়ে থানা-পুলিশ করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে, এমনকি পরিবারের সদস্যদেরও খুন করা হবে বলে হুমকি দিতে থাকে সন্ত্রাসীরা।
তবুও উপায়ন্ত না পেয়ে এ নিয়ে থানা-পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক।
কিন্তু পুলিশের সহায়তা নেওয়ায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ওই চক্রের সদস্যরা। অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ির আশেপাশে সন্ত্রাসীরা আতঙ্ক সৃষ্টি করে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবার আরো অভিযোগ করেন, গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হত্যার উদ্দেশে তাদের কলেজ পড়ুয়া ছেলে জুয়েল সিকদারের ওপর পিকআপ ভ্যান উঠিয়ে দেয় সন্ত্রাসী। রাস্তার পাশে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেচেঁ যান জুয়েল। চাদাঁবাজ চক্রের সদস্যরা পরিবারের অন্য সদস্যদেরও বিভিন্নভাবে নাজেহাল করতে থাকে।
এ অবস্থায় আব্দুর রাজ্জাক পরিবার নিয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে পড়েন বলেও জানা যায়।
পরিবারটি অভিযোগ করে বলেন, এ বিষয়ে একাধিকবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারস্থ হয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না। প্রশাসনের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সন্ত্রাসীরা এলাকায় নির্বিঘ্নে অস্ত্রের মহড়া দিলেও কার্যত তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করছে না পুলিশ প্রশাসন।
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন অসহায় পরিবারটি।
জীবন বাচাঁতে পরিবার নিয়ে কৃষকলীগ নেতার পালিয়ে বেড়ানোর বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫