রাজশাহী: রাজশাহীতে পুলিশের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করার দাবি করছে পুলিশ। মহানগর ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দিন ও তার ছোট ভাই শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বেই হামলা চালানো হয় বলে দাবি পুলিশের।
বৃহস্পতিবার মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন মহানগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভুঁইয়া। পুলিশের ওপর হামলায় অংশ নেওয়া শিবির ক্যাডার সুমন রেজাকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও এ সময় জানান ওসি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ মখদুম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা জানান, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সুমন রেজা হামলায় অংশ নেয়। তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সেলিম রেজা জানান, জসীম উদ্দিন ও শহীদুল ইসলামই ওইদিন হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের দেওয়া তথ্য এবং স্থানীয় সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তারা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। জসীমের বাড়ি শাহ মখদুম থানার ভাড়ালীপাড়া এলাকায়। আর শহীদুল তার ছোট ভাই। জসীম উদ্দিন রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক।
এছাড়া তাদের সঙ্গে রাজু, রুম্মান ও সবুজ নামের আরও তিন শিবির ক্যাডার ছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে জসীম ও শহীদুল ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ মহানগরীর শালবাগান এলাকায় অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া মামলার অন্যতম আসামি। তারা দুইজন মঙ্গলবারের পুলিশ পেটানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলারও আসামি।
সেলিম রেজা আরও জানান, মঙ্গলবার ঘটনার দিন শহীদুল পেট্রোল ঢেলে পুলিশের পিকআপ ভ্যানে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন। আর জসীম সক্রিয়ভাবে হামলায় অংশ নেন। তাদের ব্যাপারে আরও অনুসন্ধান চলছে। একই সঙ্গে এগিয়ে চলছে মামলার তদন্তও। কিছু আসামি চিহ্নিত করা গেছে। তবে ঘটনার পর গা ঢাকা দিলেও শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা যাবে বলে জানান তিনি।
গত ৬ জানুয়ারি হরতাল ও অবরোধ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা হয়। সকাল সোয়া দশটার দিকে মহানগরীর শালবাগান এলাকার পাশে আলিফ লাম মিম ভাটায় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত হন শাহ মখদুম থানার পুলিশ কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম (৩৬) ও আমজাদ (৩২)। আহত অপর দুইজন হলেন শাহ মখদুম থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ও কনস্টেবল জামাল (৩৪)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত দুই পুলিশ কনস্টেবলের মধ্যে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে আমজাদ হোসেনকে রাজশাহী পুলিশ লাইন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর পুলিশ কনস্টেবল শফিকুল ইসলামের মাথায় গুরুতর জখম রয়েছে। তার একটি হাতও ভেঙে গেছে। তাকে বর্তমানে ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তারা দুজনই আশঙ্কামুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫