ঢাকা: জ্বালানি খাতের উন্নয়নে দেশীয় কয়লা ব্যবহারের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (০৮ জানুয়ারি) বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে পাওয়ার এনার্জি অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (পিইএনআরডিসি) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক কথা হয়েছে এখন বাস্তবায়ন করা দরকার। আর বসে থাকার সুযোগ নেই, সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, কয়লা উত্তোলনের বিকল্প নেই। আর কয়লা তুলতে আমাদের অর্থেরও দরকার হবে না। কারণ বন্ড ইস্যু করে এটা তুলে নেওয়া যায়।
দেশীয় কয়লার বিকল্প নিয়ে দ্বিমত থাকারও কোনো সুযোগ নেই দাবি করে নসরুল হামিদ বলেন, দেশীয় কয়লা অনেক উন্নতমানের। তাই এটা উত্তোলন করলে দেশে ব্যবহারের পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগ তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের গ্যাসের মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। এজন্য সরকার বিকল্প অনুসন্ধান করছে। বিকল্প হিসেবে সমুদ্রে তেল গ্যাসের অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে ভারত ও মিয়ানমারের সামান্তে সমুদ্রব্লক ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এছাড়া সমুদ্রে তৃতীয়মাত্রার ভূমিকম্পন জরিপ করা হবে। এর মাধ্যমে সাগরে তেল গ্যাসের মজুদ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে।
সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। এখন আর হাত গুটিয়ে বসে থাকবার সময় নেই বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে প্রকৗশলী মেজবাউর রহমান টুটুল বলেন, সরকার ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রতিবছর ২৪০ মিলিয়ন টন কয়লার প্রয়োজন হবে।
এতে দেশীয় কয়লার সংস্থান করতে হবে ১১০ মিলিয়ন টন আর আমদানী করা কয়লা ব্যবহার করতে হবে ১৩০ মিলিয়ন টন। এই কয়লা সংস্থানের জন্য দেশের খনি উন্নয়ন করা জরুরী।
তবে কয়লা উত্তোলনে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রকৌশলী মোহম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী, পিডিবি চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫