ভোলা: প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা ও যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ভোলা সরকারি ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বিচার না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচি চলবে বলে তারা জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভোলা সরকারি ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক হাবিবুর রহমান কলেজে যোগদানের পর থেকে শিক্ষার্থীদের তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। কেউ না পড়লে বা পড়তে রাজি না হলে তাকে ফেল করিয়ে দেওয়াসহ নানা রকম ভয়ভীতি দেখাতেন।
এছাড়াও ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট কক্ষ ও ক্লাস রুমে যৌন হয়রানি করতেন। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতেন না। বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
শিক্ষক হাবিবুর রহমানের অশোভন আচরণ ও যৌন হয়রানির বিষয়টি চরম পর্যায়ে পৌঁছালে তারা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামেন।
সরকারি ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান, রেজওয়ানা, সানজিদা, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী রাবেয়া, পুজা ও রিপাসহ একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, তাদের প্রাইভেট পড়ার জন্য শিক্ষক হাবিব বিভিন্নভাবে ভয় দেখাতেন। প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়াসহ কলেজ থেকে টিসি দেওয়ার হুমকিও দিতেন। এ ভয়ে অনেক শিক্ষার্থী তার কাছে বাধ্য হয়েই প্রাইভেট পড়তেন। কিন্তু ওই শিক্ষক বিভিন্ন সময় তাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন।
এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ফকরুল আলম পাশা বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমরা তাৎক্ষণিক ৩ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও বুধবার থেকে কলেজের সব কার্যক্রম থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫