ঢাকা: আমাকে দেখে কি সন্ত্রাসী মনে হয়? আমার বাসায়ও ককটেল হামলা করা হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সারা দেশে হরতাল অবরোধের সহিংসতা বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে এমন প্রতিক্রিয়াই ব্যক্ত করলেন।
২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের মধ্যে ৯ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাত ৮টার দিকে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের বনানীর বাসা লক্ষ্য করে ককটেল ছোঁড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসার নিরাপত্তায় দায়িত্বরত আনসার সদস্য এবং বাসার সামনে রাখা একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আর সহিংসতা প্রসঙ্গে সেকথাই তুলে আনেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। এ ক্ষেত্রে যা যা করার দরকার সরকার সে অনুসারে ব্যবস্থা নেবে। নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে।
বিএনপি জামাতের সরকার বিরোধী আন্দোলনের বিষয়েও পাল্টা প্রশ্ন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানতে চান, এটা কী কোনও আন্দোলন?
আইনমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটা দেখতে হবে। উদাহরণস্বরুপ তিনি ১৯৯৬ সালের আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন। যেখানে বিএনপি সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করে মার্চে (১৯৯৬) পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলো। ওই সময়ের আন্দোলনকে তিনি গণ আন্দোলন বলেও আখ্যা দেন।
তার মতে, এ সরকার নির্বাচনের পর এক বছর অতিক্রম করেছে। বিদেশিদের থেকে দুটি (স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সিপিএ‘র চেয়ারম্যান ও আইপিইউ‘র প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী) সার্টিফিকেটও রয়েছে। এখন বন্ধ করতে হবে ২০ দলের অরাজকতা।
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণের সম্পৃক্ততা থাকবে, প্রত্যাশা থাকবে এমন বিষয়েই আইন হয়। হরতাল বন্ধ জনগণের দাবি থাকলে আইন করা হবে বলেই মত দেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, হরতালের নামে এখন যা হচ্ছে তা ‘সন্ত্রাস’। সন্ত্রাস দমন আইন আছে। এখন সে আইনের প্রয়োগ করা হবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫