ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আবারও মানবিকতা দেখালো বাংলাদেশ

জেসমিন পাপড়ি, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫
আবারও মানবিকতা দেখালো বাংলাদেশ

ঢাকা: যোগ্য প্রতিবেশীর মতো ভারতের প্রতি আবারও মানবিকতা দেখালো বাংলাদেশ। দেশটির ত্রিপুরা অঙ্গরাজ্যের জন্য আরো ২৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য পরিবহনের অনুমতি দিয়েছে সরকার।



আশুগঞ্জ ও আখাউড়া বন্দর দিয়ে এ পণ্য ত্রিপুরাতে পৌঁছাবে। ভারতের এই প্রদেশটিতে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেওয়ায় মানবিক দিক বিবেচনায় এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী মো. শাজাহান খান।

এর আগে একই বিবেচনায় ১০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়। গত বছর দুই ভাগে এ পণ্য পরিবহন করে ভারত।

মূলত, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের বহু শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার কথা স্মরণ করেই ত্রিপুরার প্রতি এ মানবিক আচরণ দেখিয়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বাংলানিউজকে বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতকে পণ্য পরিবহনের এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ অংশে এসব খাদ্যশস্য বাংলাদেশি ট্রাকের মাধ্যমে পরিবহন করবে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি ট্রাকের মাধ্যমে বাংলাদেশ অংশ দিয়ে এসব পণ্য পরিবহন হবে। আমাদের ট্রাকগুলো আগরতলা পর্যন্ত যাবে। এর আগে ২০১২ সালে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ত্রিপুরাতে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য পাঠানোর অনুমতি চায় ভারত। কারণ, মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পণ্য পরিবহনে মাত্র ৩৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। সেখানে ভারতের মধ্য দিয়ে যেতে হয় ১,৬৫০ কিলোমিটার পথ।

গত মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা যায়। নৌপরিবহনমন্ত্রী ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, কোনো ধরনের শুল্কারোপ ছাড়াই মানবিক দিক বিবেচনা করে ভারতকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে আশুগঞ্জ ও আখাউড়া বন্দরসহ পণ্য পরিবহন ও বাণিজ্যিক চার্জ আদায় করা হবে।

এর আগে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতীয় এনজিসির টার্বাইন ও ভারী পণ্যসামগ্রী পরিবহনের অনুমতি পেয়ে ২০১১ সালে ত্রিপুরা রাজ্যের ৭২৬ মেগাওয়াটের পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী ভারী যন্ত্রাংশ বোঝাই ১২০ চাকার ট্রেইলার পরিবহন করে ভারত। এরপর পরিবহন করে ১০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য। তবে সেবার বাংলাদেশের ছোট ছোট ট্রাক ব্যবহার করা হয়।

আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্তপথে ট্রানজিট প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ শুল্কমুক্তভাবে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এ সব পণ্য প্রবেশ করে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।