চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে র্যাবের ওপর হামলা করে পালানোর সময় ‘বন্দুকযুদ্ধ’-এ ছাত্রদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
নিহত ছাত্রদল নেতা মতিউর রহমান এম (৩০) শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের বাজিতপুর গুহিপাড়া গ্রামের উপসাত রহমান মন্টু আলীর ছেলে ও শ্যামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি।
র্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জের কোম্পানি কমান্ডার মেজর কামরুজ্জামান পাভেল বাংলানিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে রাত ১০টার পর শ্যামপুর নারীকল্যাণ স্কুলের কাছ থেকে ছাত্রদল নেতা মতিউর এবং হযরত (১৮) ও শ্যামল (১৮) নামে আরো দুই জনকে আটক করা হয়।
পরে তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, কানসাট এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ, ট্রাকে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন নাশকতায় তারা জড়িত। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে মতিউরকে সঙ্গে নিয়ে কানসাট বাজার এলাকায় গেলে সেখানে অবস্থান করা মতিউরের সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ করে ককটেল ও গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
ঘটনার সময় মতিউর পালানোর চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়ের মধ্যে পড়ে মতিউর ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে র্যাব একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভালবার, দুটি বন্দুক, দুটি শ্যুটারগান, পাঁচ রাউন্ড গুলি, তিনটি ম্যাগজিন, ১৭টি ককটেল, ১০টি পেট্রোল বোমা ও পাঁচটি বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
পরে তার মৃতদেহ শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মইনুল ইসলাম জানান, মৃতদেহ থানায় রয়েছে।
তবে মতিউরের বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা রয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে, নিহতের চাচা মজিবুর রহমানের দাবি, যৌথবাহিনী মতিউর ও তার সহযোগীদের রাতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে সকালে শিবগঞ্জ থানায় তার মৃতদেহের খোঁজ পাওয়া গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহজাহান আলী মিঞা বলেন, এটা ‘বন্দুকযুদ্ধ’ নয়। এটা হত্যা। এ ঘটনায় আরো দুইজন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের গুম করা হয়েছে।
তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৫/আপডেটেড: ১২৩৭ ঘণ্টা