ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাজিরায় জাগরণ

মাহমুদ মেনন ও মহিউদ্দিন মাহমুদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
জাজিরায় জাগরণ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নাওডোবা পয়েন্ট (জাজিরা) থেকে: জাগরণ উঠেছে পদ্মার পাড় জাজিরায়। এখানে এখন সাজ সাজ রব।

পদ্মাসেতু হচ্ছে সেই প্রত্যাশায় মানুষের চোখেমুখে স্বপ্নপূরণের ছাপ।

এতদিন পদ্মা ছিল সবার। এখন সবারই পদ্মাসেতু। জাজিরায় নাওডোবা পয়েন্টে প্যান্ডেল পড়েছে। রঙিন ফেস্টুন, পতাকায় সেজেছে পুরো এলাকা। পদ্মাপাড়ে বাধ জুড়ে ব্যানার। তাতে জাতির জনক আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্পিডবোট চেপে জাজিরা পৌঁছে সাংবাদিকদের দল। কিন্তু এপারে শনিবারের সকাল হয়েছে অনেক অনেক ভোরে। কাকডাকা ভোর থেকেই এখানে জমতে শুরু করে মানুষ। তারা আসছেন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকতে, আসছেন স্বপ্নের সাধ মেটানোর দিনটিতে নিজেকে উপস্থিত রাখতে।

জাজিরা পয়েন্টে প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছার কথা সকাল সাড়ে দশটার দিকে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রস্তুত রয়েছ নতুন করে নির্মিত হেলিপ্যাড। মঞ্চ সেজেছে পদ্মাবহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প'র নদী শাসন কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে। মঞ্চ থেকে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সাধারণ জনতাও এসে ভিড় জমিয়েছেন। তারা এসেছেন আশেপাশের জেলা শরীয়তপুর, মাদারীপুর,ফরিদপুর এমনকি গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ীর দূর দূরান্তের গ্রাম থেকে। বিকিনগর, সেনেরচর, গোপালপুর,জয়নগর, কাঠালবাড়ি, কাদিরপুর, কুতুবপুর, পাটচর, মাঝিকান্দি, ফরাজীকান্দি,পালেরচর, জাজিরা, বিলাসপুরসহ আরও অনেক নাম না জানা গ্রাম থেকে। স্বপ্নের সেতুর জন্য তাদের কোন অপেক্ষাতেই কষ্ট নেই।

ফরাজীকান্দি থেকে এসেছেন ষাটোর্ধ বৃদ্ধা জমিরা। বললেন, অপেক্ষায় আছি শেখের বেটি আসতেছে, তারে একটু দেখতে চাই। পদ্মাসেতুর জন্য যাদের জমি গেছে তাদের গর্ব যেন একটু বেশি। এমনই একটি দিনের অপেক্ষায় ছিলেন তারা। নিজেদের জমির ওপর দিয়ে চলে যাবে পদ্মাসেতু। তার আনন্দই আলাদা। দেশের উন্নতির কাজে তাদের বাপ-দাদার জমি-জিরেত ব্যবহার হচ্ছে সে জন্যই এই গর্ব। আর বিনিময়ে তাদের জমি দেওয়া হয়েছে। ঘর হয়েছে, বলে কষ্টও নেই। খাঁ পাড়ার সাহেলা এসেছেন ছোট্ট শিশুটিকে কোলে করে। এসেছে স্কুল শিক্ষার্থী, গৃহস্থের বউ, মাঠের চাষী, নদীর জেলে মাঝি সবাই।

এদিকে সকালে পদ্মাসেতুর এই নদী শাসনের কাজ উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাবেন পদ্মার ওপারে মাওয়া পয়েন্টে। সেখানে পদ্মাসেতু নির্মাণের মূল কাজ উদ্বোধন করবেন। বক্তব্য রাখবেন সমাবেশে। তবে সকাল সাড়ে দশটায় প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছানোর কথা থাকলেও কুয়াশা থাকার কারণে তার আগমনে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
আরআই

** চিত্রে নদীর বুকে পদ্মাসেতুর নির্মাণযজ্ঞ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।