ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ছে শীত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ছে শীত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। মৃদু শৈত্য প্রবাহ, ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে দরিদ্র মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।



স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় এ দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ছিন্নমুল, অসহায় মানুষ ও শিশুদের দুর্ভোগ চরমে উঠবে। এছাড়া শীতজনিত রোগ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) জেলার কোনো স্থানে সূর্যের দেখা মেলেনি। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য সূর্য উঁকি দিলেও কিছুক্ষণ পরেই তা মিলিয়ে যায়। সারাদিন চারদিক কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীত।

রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শনিবার রংপুর অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে উঠানামা করেছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা কিছুটা কমছে।

শীতে দরিদ্র মানুষ কষ্টের শিকার হচ্ছেন। তবে, শীতার্ত মানুষের পাশে এখন পর্যন্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেভাবে এগিয়ে আসেনি। সচেতন মহলের দাবি শীতার্ত মানুষের পাশে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো এখনই এগিয়ে না এলে চরম দুর্ভোগে পড়বে এ অঞ্চলের মানুষ।

এদিকে, শীতজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে। শীতের তীব্রতার জন্য নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ কাজ করতে পারছেন না। শ্রম বিক্রি করতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।

ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের হঠাৎপাড়ার কমল রায়, দীপেন সাহা জানান, শীতে শ্বাসকষ্ট বাড়ছে। জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছি।

খালপাড়ার মজিবুর রহমান বলেন, শীতে রিকশায় কেউ উঠতে চায়না। এতে আয়-রোজগার কমে গেছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, জেলার দরিদ্র লোকজনের চাহিদা অনুযায়ী শীতবস্ত্র চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তা পেলেই শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫    
এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।