ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর অংশীদারিত্বে শক্তি বাড়বে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
‘জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর অংশীদারিত্বে শক্তি বাড়বে’ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: উন্নত দেশ গঠনে যার যার জায়গা থেকে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিম্নে থাকবো না।

কেউ আমাদের দরিদ্র বলে অবহেলা করুক আমরা এটা চাই না। আমরা বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে, আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবো।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসের এনডিসি অডিটোরিয়ামে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি)-২০১৫ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার (এএফডব্লিউ) কোর্স২০১৫ এর গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, আঞ্চলিক সহযোগিতা, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিষয়সহ বিভিন্ন কথা বলেন।

সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যেকার অংশীদারিত্ব সময়ের পরিক্রমায় শক্তি সঞ্চয় করবে।

তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সারা বিশ্বে প্রশংসিত। জন্মের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনী দেশের অহংকার। সশস্ত্র বাহিনী জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণে তাদের পাশে রয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রযুক্তিগত দক্ষতার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সার্বজনীন ও বহুকেন্দ্রীক বিশ্বে বাস করি। যেখানে পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি পারস্পরিক সংযোগ সুদৃঢ় করেছে। উদ্ভুত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে পথ দেখাচ্ছে। আবার মাঝে মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশও তৈরি করছে। বিশেষ করে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ মাথা ছাড়া দিয়ে ওঠে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিজেদের মধ্যেকার অর্থনৈতিক সর্ম্পক আরো সুদৃঢ় করার ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বর্তমান উন্নতর ও পারস্পরিক সর্ম্পকযুক্ত বিশ্বে বসবাস করছি। এখানে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর উন্নত বিশ্বের অনেক নিয়মনীতি প্রভাব ফেলে। এই পরিস্থিতিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিকে বহুমুখী ও শক্তিশালী করতে নিজেদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিকে আরো সুদৃঢ় করার প্রয়োজন।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক সর্ম্পক বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ভূমিকা রাখছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পারস্পরিক সর্ম্পকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী নিরাপত্তা জনিত অনেক সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রী সমন্বিত আঞ্চলিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার প্রতি জোর দেন।

সনদপ্রাপ্ত গ্র্যাজুয়েটদের অর্জিত জ্ঞান, ইচ্ছাশক্তি ও অঙ্গীকার কাজে লাগিয়ে জনগণের ক্ষমতায়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও আর্ত-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিকভাবে দেশ সমৃদ্ধ হয়েছে বলেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ১২২ ভাগ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে বাংলাদেশী ৫১ জন ও বিদেশি ২৫ জন এবং এএফডব্লিউ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৮, নৌবাহিনীর ৫ ও বিমান বাহিনীর ৫ জনকে গ্র্যাজুয়েশন সনদ দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নতুন গ্র্যাজুয়েটদের  হাতে এ সনদ তুলে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
এমইউএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।