ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুই বাংলাদেশিকে ফেরত আনার ব্যাপারে অগ্রগতি নেই

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
দুই বাংলাদেশিকে ফেরত আনার ব্যাপারে অগ্রগতি নেই

ঢাকা: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে ‘নিখোঁজ হওয়া’ দুই বাংলাদেশিকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে মায়ানমার কর্তৃপক্ষের সাড়া পাওয়া যায়নি।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি-৫০) সিও সাইফুল আলম পারভেজ বিষয়টি জানান বাংলানিউজকে।



তিনি জানান, শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিউ মিন্ট থানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এরপরও দুই বাংলাদেশিকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি মায়ানমারের তরফ থেকে।

মায়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে বলা হয়, গত ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী সীমান্তে অতর্কিত গুলি চালান মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা। এতে ১৪ ডিসেম্বর জয়নাল আবেদিন ও ১৫ ডিসেম্বর সৈয়দ আলম নামের দুই বাংলাদেশি গুরুতর আহত হন, যাদের নিয়ে গেছেন বিজিপির সদস্যরা। তাদের মধ্যে জয়নাল আবেদিন নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জবাবে বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন মিউ মিন্ট থান। এ সময় গুলি চালানো ও বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রমাণ বাংলাদেশের কাছে আছে বলে জানানো হয় তাকে।

সাইফুল আলম পারভেজ বাংলানিউজকে আরও বলেন, আমাদের কাছে দু’টি চিঠি দিয়েছে বিজিপি। একটি বিজিবি’র অধিনায়ক বরাবর গত ১৬ ডিসেম্বর, অপরটি আঞ্চলিক কমান্ডার বরাবর গত ১৭ ডিসেম্বর। উভয় চিঠিতেই তাদের কাছে কোনো বাংলাদেশি আটক নেই বলে জানানো হয়েছে।

গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির আশারতলী সীমান্তে কাঠ কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন জয়নাল আবেদিন। পরে ফিরে আসার পর জয়নালের সঙ্গীরা দাবি করেন, সীমান্তের ওপার থেকে বিজিপি সদস্যরা অতর্কিত তাদের ওপর গুলি চালিয়েছেন। এরপর জয়নালের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর গত ১৫ ডিসেম্বর জয়নালের খোঁজ নিতে গিয়ে একই এলাকায় নিখোঁজ হন সৈয়দ আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
জেপি/আরএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।