ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শীতকালে ঢাকার চারপাশের নদীতে বাড়ে দূষণ

তাবারুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫
শীতকালে ঢাকার চারপাশের নদীতে বাড়ে দূষণ

ঢাকা: রাজধানীর চারপাশে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগ নদীর পানির দূষণের মাত্রা শীতকালে বেড়ে যায়। তুলনামূলকভাবে বর্ষাকালে এসব নদীর পানির গুণগত মানের কিছুটা উন্নতি হলেও নির্ধারিত মানমাত্রার পর্যায়ে পৌঁছায় না।


 
গত কয়েক বছরের পানির মান পরীবিক্ষণ করে সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদফতরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়, শীতকালে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদীর পানির লবণাক্ততা অনেক বেড়ে যায়। আবার বর্ষাকালে এ লবণাক্ততা কিছুটা কমে আসে।
 
পরিবেশ অধিদফতর ১৯৭৩ সাল থেকে ভূ-উপরিস্থ ও ভূ-গর্ভস্থ পানির মান পরীবিক্ষণ করে আসছে। অধিদফতর দেশের ২৭টি নদীর ৬৩টি স্থানে পানির গুণগত মান মনিটরিং করে।
 
পরিবেশ অধিদফতরের ছয়টি বিভাগীয় অফিস পানির গুণগত মানের ১২টি প্যারামিটারে এ পরিমাপ করে থাকে।
 
এসব প্যারামিটার অনুসারে, ২০১৪ সালে নদীর পানির গুণগত মানের মনিটরিং ফলাফল থেকে জানা যায়, পানির বৈশিষ্ট্যগত (পিএইচ) দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) ও বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন চাহিদা (বিওডি) মানের ভিত্তিতে ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলোতে শুষ্ক মৌসুমে প্রথম পাঁচ মাস খুব দুষণ থাকে।

বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগ নদীর পানিতে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত কোনো দ্রবীভূত অক্সিজেন পাওয়া যায়নি। বর্ষা মৌসুমে ডিও ও বিওডি’র মান কিছুটা উন্নত হলেও পানির গুণগত মানের উন্নতি হয় না বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
 
অন্যদিকে, ওই সময়ের মধ্যে দেশের বড় নদী পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, করতোয়া, ধলেশ্বরী, সুমরাসহ অন্যান্য নদীর পানির গুণগত মান পরিবেশগত মান মাত্রার মধ্যে ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
 
বার্ষিক প্রতিবেদনে ২০১৪ সালে ঢাকার পাশের নদীগুলো পানির মান পরীক্ষা করে একটি জরিপ তুলে ধরা হয়েছে।
 
এতে দেখা যায়, সেই বছরের বর্ষা মৌসুম অর্থাৎ মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে বুড়িগঙ্গা নদীর পানিতে (প্রতি মিলিগ্রাম, লিটারে) বিওডি’র মাত্রা ছিল ১০ দশমিক ০৪ ও ডিও'র মাত্রা ছিল ২ দশমিক ৫৯। অপরদিকে, শীত মৌসুম নভেম্বর থেকে এপ্রিল সময়ে এ নদীর বিওডি’র মাত্রা দ্বিগুণের চেয়ে বেশি বেড়ে হয় ২৪ দশমিক ৯৮ ও ডিও’র মাত্রা হয় শূন্য দশমিক ৬১।
 
বর্ষা মৌসুমে শীতলক্ষ্যা নদীর পানি বিওডি’র মাত্রা ৬ দশমিক ৪৪ ও ডিও’র মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৮৮। অপরদিকে এ নদীতে শীত মৌসুমে বিওডি’র মাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৮ ও ডিও’র মাত্রা ছিল শূন্য দশমিক ৬৬।
 
বর্ষাকালে তুরাগ নদীর পানিতে বিওডি’র মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২১ ও ডিও’র মাত্রা ছিল ২ দশমিক ৭৬। আর শুষ্ক মৌসুম শীতকালে এ নদীর পানিতে বিওডি’র মাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৪৪ ও ডিও’র মাত্রা শূন্য দশমিক ৬৯ এ ছিল।
 
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫
টিএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।