ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৬
শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: বেতন ভাতা ও মর্যাদা বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমরা শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ করে দেওয়ার পরও তাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে কেন।


 
সোমবার (০৪ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে নির্ধারিত এজেন্ডার বাইরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় প্রসঙ্গটি উঠলে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বেতন-ভাতা বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যরা এর জন্য অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে দায়ী করেন। তারা অর্থমন্ত্রীর উপর ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ শিক্ষদের বেতন ভাতা ও সম্মানের দাবি নিয়ে চলমান আন্দোলনের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিষয়টি আলোচনায় নিয়ে আসেন। তিনি বেতন-ভাতা বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অন্যতম সদস্য।

পরে ওই কমিটির সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ,আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ও আলোচনায় অংশ নেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, শিক্ষদের দাবি দাওয়া নিয়ে আমরা বৈঠক করে তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় বলেছিলাম। আলোচনার সময় আমরা অধিকাংশ বিষয়ে একমত হই এবং একটি সিদ্ধান্তে পৌছাই। পরে তাদের সঙ্গে আমাদের আরেকটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু সেই বৈঠক আর হয়নি। জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট প্রকাশ করার সময় সেখানে অর্থমন্ত্রী বেশকিছু বিষয়ে পরিবর্তন এনেছেন। যার ফলে সমস্যা পুরোপরি সমাধান হয়নি। তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে শিক্ষামন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সূত্র আরো জানায়, এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমার শিক্ষকদের বেতন ভাতা দ্বিগুণেরও বেশি করে দিয়েছি। তারপরেও কেন শিক্ষকদের এতো ক্ষোভ থাকবে। অধ্যাপক পদ একটি সম্মানীয় পদ। একজন সচিব বা যুগ্ম সচিবের সঙ্গে তো এটি তুলনা বা সমমর্যদার বিষয় না। তারা কেন সচিব, যুগ্ম সচিবের মর্যাদা চান। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান স্যারের সম্মানের সঙ্গে কি কোনো সচিবের তুলনা চলে। তারা যদি যুগ্ম সচিব, সচিব হতে চানই তাহলে তাদের চাকরির বয়স ৬৫ থেকে কমিয়ে সচিবদের মতো ৫৯ করে দেই। তাদের অনেকে শিক্ষকতার বাইরে পার্ট টাইম বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়ে থাকেন।

সচিবদের সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টার বাইরেও অনেক কাজ করতে হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কত সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকেন আর কত সময় অন্য প্রতিষ্ঠানে সার্ভিস দেন সেটাও দেখা দরকার।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি নিয়ে যেসব সচিব বেতন-ভাতা বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য তাদের নিয়ে বৈঠক করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
এসকে/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।