ঢাকা: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা যাতে গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ প্রাপ্য হন সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাওয়া পেলে অর্থ বিভাগ দ্রুততার সঙ্গে অনাপত্তি প্রদান করবে।
সোমবার (০৪ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিষয়ে আলোচনা হয়।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত পুর্নগঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে অষ্টম বেতন স্কেল ঘোষণা করায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কয়েকজন মন্ত্রী।
রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা যাতে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড ছাড়া গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ প্রাপ্য হন সে ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাওয়া গেলে অর্থ বিভাগ দ্রুততার সঙ্গে অনাপত্তি প্রদান করবে। ’
সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্যাডারের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্রেডে আরও কিছু পদ সৃষ্টির জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
অষ্টম বেতন স্কেল বাস্তবে প্রয়োগ ও অনুশীলনের পর কোনো অসঙ্গতি দেখা দিলে অর্থ বিভাগ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে নন-ক্যাডারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির বিষয়েও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
বেতন স্কেল সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতা চেয়েছে অর্থ বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
মআইএইচ/এএসআর
** শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ