ঢাকা: দেশের ভোটারদের উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড ছাপানোর কাজ নভেম্বরে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে ৫০ লাখ কার্ড ছাপানো শেষ হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৪ সালে যারা ভোটার হয়েছেন, তাদের কোনো পরিচয়পত্রই আমরা দিইনি। তাই তাদের স্মার্ট কার্ডই আগে ছাপানোর নির্দেশনা দিয়েছিল ইসি। সে অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ভোটারদের কার্ড ছাপানোর শেষ হয়েছে।
প্রায় ৫০ লাখ স্মার্ট কার্ড ছাপানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, খুব শিগগির আমরা তা বিতরণে যাবো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারে স্মার্ট কার্ড ছাপানোর জন্য নয়টি মেশিন বসিয়েছে ইসি। যা দিয়ে পুরোদমে উৎপাদন চলছে। প্রতিটি মেশিনে মাসে ৫ লাখ এনআইডি ছাপানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।
দেশে বর্তমানে ভোটার রয়েছে নয় কোটি ৬২ লাখের মতো। সে মোতাবেক সবার স্মার্ট কার্ড ছাপাতে প্রায় দু’বছর সময়ের প্রয়োজন হতে পারে।
যদিও এ পর্যন্ত অন্তত তিনবার ঘোষণা দিয়েও বহুল কাঙ্খিত স্মার্ট কার্ড বিতরণে যেতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তাই এবার পুরো প্রস্তুতি নিয়েই তারিখ ঘোষণা করা হবে, জানান সালেহ উদ্দীন।
বর্তমানে নাগরিকদের যে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে, তা ১৭ ডিজিটের। আবার কারও কারও ১৩ ডিজিটের রয়েছে। সেক্ষেত্রে স্মার্ট কার্ড হবে ১০ ডিজিটের।
এই কার্ড দিয়ে নাগরিকরা অন্তত ২৫ ধরনের ই-সেবা নিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সাল থেকে দেশের ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ করছে। যদিও ভবিষতে ভোটার ছাড়াও সব বয়সী নাগরিকদের পরিচয়পত্র দেওয়ার মহাপরিকল্পনা রয়েছে ইসি’র।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
ইইউডি/এটি