ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিজামীর সঙ্গে কথা বলে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৬
নিজামীর সঙ্গে কথা বলে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত ছবি: রাজীব- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা দেখে ও মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে কথা বলে ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুবু হোসেন।
 
বুধবার (০৬ জানুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে নিজামীর ফাঁসি বহাল থাকার পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

 
 
সকাল ৯টা ০৫ মিনিটে ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রেখে নিজামীর আপিল মামলার সংক্ষিপ্ত চূড়ান্ত রায় দেন রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ। অন্য বিচারপতিরা হচ্ছেন, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

নিজামীকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড এবং হত্যা-গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত ৮টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে ৪টিতে ফাঁসি ও ৪টিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ৩টিতে ফাঁসি ও ২টিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। অন্য তিনটিতে চূড়ান্ত রায়ে দণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন নিজামী, যার মধ্যে একটিতে ফাঁসি ও দু’টিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ছিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে।      

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না রিভিউ করা হবে কি-না। নিজামী হয়তো মনে করতে পারেন, রিভিউয়ে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন না। আগে যারা রিভিউ করেছিলেন, তারা যেহেতু ন্যায়বিচার পাননি, সেজন্য তিনিও রিভিউ নাও করতে পারেন।
 
নিজামীসহ অন্য যাদের এখন বিচার হচ্ছে, তাদেরকে অপরাধের সহযোগী হিসেবেও দাবি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার দাবি, মূল যুদ্ধাপরাধী ছিলেন পাকিস্তানের ১৯৫ জন সেনা কর্মকর্তা। মূল অপরাধীদের বাদ দিয়ে সহযোগীদের বিচার হচ্ছে।  

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে হয়তো কিছু লোক পাকিস্তানের অখণ্ডতায় বিশ্বাস করতেন। এর মানে এই নয় যে, সে কারণে সেসব মানুষ হত্যা, লুটপাট, ধর্ষণের মতো অপরাধ সংঘটিত করেছেন।

ট্রাইব্যুনালে বিচারের ক্ষেত্রে সাক্ষীদের সাক্ষ্য-প্রমাণের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশও করেন খন্দকার মাহবুব। তিনি দাবি করেন, সেফহোমে রেখে দিনের পর দিন এসব সাক্ষীদের শিখিয়ে-পড়িয়ে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে। সাক্ষীরা শেখানো সাক্ষ্য দিতে বাধ্য হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৬
ইএস/টিএইচ/এমএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।