ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সংস্কৃতি চর্চার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা হত্যাকাণ্ডে জড়াচ্ছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৬
সংস্কৃতি চর্চার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা হত্যাকাণ্ডে জড়াচ্ছে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: সংস্কৃতি চর্চার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা হত্যাকাণ্ডে জড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

তিনি বলেন, নবী-রাসূলরা যে মানবপ্রেম দিয়ে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছিলেন সেটি যদি মাথায় থাকে, তাহলে ধর্মের নামে কোনো মুসলমানের পক্ষেই কাউকে হত্যা করা সম্ভব নয়।



শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী বঙ্গ-সংস্কৃতি উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী এসময় আরো বলেন, এ যুগে সংস্কৃতি চর্চাটা তেমন হচ্ছে না। ১৬ কোটি মানুষের দেশে যেভাবে সংস্কৃতি চর্চা করা উচিত, সেভাবে করা হচ্ছে না। এক সময় বাড়ি বাড়ি হারমোনিয়ামের আওয়াজ পাওয়া যেতো, এখন পাওয়া যায় টেলিভিশনের আওয়াজ। এই অবস্থাটার জন্য আমরাই দায়ী।

এ যুগের মা-বাবা, শিক্ষকরা বাচ্চাদের ওপর জিপিএ-৫ নির্যাতন চালায়। জিপিএ-৫ পেতে মা-বাবা, শিক্ষকদের কি যে প্রাণান্তকর চেষ্টা। যেন এটা না পেলে জীবন ব্যর্থ। -যোগ করেন মন্ত্রী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমি, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ ও চিনাইর আঞ্জুমান আরা স্কুলের যৌথ উদ্যোগে এ বঙ্গ-সংস্কৃতি উৎসব শুরু হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর ও চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ মাঠে তিনদিন এ উৎসব চলবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও উৎসব উদযাপন পর্ষদের চেয়ারম্যান র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির পরিচালক অ্যাডভোকেট আবু তাহের।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, ত্রিপুরার কবি দিলীপ দাস, উপ-মহাদেশের বিশিষ্ট বংশীবাদক ওস্তাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে কবি কাজী রোজী এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এম এ মাসুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, আবৃত্তিকার গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।

উৎসবের উদ্বোধনী দিনে নাট্য ব্যক্তিত্ব আলী যাকের, উপ-মহাদেশের বিশিষ্ট বংশীবাদক ওস্তাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলামকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অবশ্য শারীরিক অসুস্থতার কারণে নাট্য ব্যক্তিত্ব আলী যাকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৬
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।