ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় সর্বহারা পার্টির পোস্টারিং-গুলি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৬
বগুড়ায় সর্বহারা পার্টির পোস্টারিং-গুলি

বগুড়া: বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলার মিলনস্থল শেরপুরের ভবানীপুর বাজার এলাকায় নিষিদ্ধঘোষিত চরমপন্থিদল পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির সশস্ত্র সদস্যরা মিছিল ও পোস্টারিং করেছে। একইসঙ্গে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে নিজেদের সশস্ত্র উপস্থিতি জানান দিয়েছে তারা।



শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে, খবর জানতে পেরে শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। এ ঘটনায় চরমপন্থি অধ্যুষিত ভবানীপুর ও পাশের রানীরহাট বাজার এলাকার মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
 
সন্ধ্যায় শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাটি জানার পর তিনি দুপুরে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ভবানীপুর বাজারে যান। বিভিন্ন স্থানে লাগানো পোস্টারগুলো দেখে এলাকাবাসীর সহায়তায় সেগুলো উঠিয়ে ফেলেন।
 
মিজানুর আরও জানান, পুলিশ প্রশাসন এলাকাবাসীর পাশে রয়েছে। এলাকাবাসীর জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশি তৎপরতা চলছে। সেখানে সার্বক্ষণিক পুলিশি টহলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই এলাকায় পুলিশ টহল অব্যাহত রয়েছে।

যদিও সর্বহারাদের গুলি ছোঁড়ার বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভবানীপুরের একাধিক বাসিন্দা বাংলানিউজকে জানান, ঘটনা শুক্রবার রাত অনুমান ১১টার দিকের। মুখোশ পরিহিত ৪০-৫০ জনের মতো সশস্ত্র যুবক-যুবতী ভবানীপুর বাজারে এসে অবস্থান নেয়। এরমধ্যে মেয়ে ছিল ৭-৮ জনের মতো। তারা বাজার এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বিল্ডিংয়ের পিলারে পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির পক্ষে হাতে লেখা রঙ-বেরঙেয়ের পোস্টার সাঁটিয়ে দেয়।
 
পাশাপাশি তারা পার্টির গণ-রাজনৈতিক প্রচারপত্র (লিফলেট) দরজা ও সাটারের নিচ দিয়ে কক্ষে কক্ষে ঢুকিয়ে দেয়। প্রায় ঘণ্টা ধরে বাজারে অবস্থান নিয়ে সশস্ত্র দলটি এ ধরনের তৎপরতা চালায়।
 
এসময় তারা বর্তমান সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। নির্মূলের ঘোষণা দেয় বিএনপি-জামায়াতকেও।

স্থানীয়রা জানান, সন্ত্রাসীদের এই কাজে সহযোগিতার জন্য ভবানীপুর, রানীরহাটসহ আশপাশের লোকজনকে নির্দেশ দিয়ে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তারা। এসময় তারা বলে, তারা সাধারণ মানুষের প্রতিপক্ষ নয়। অতএব তাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই।
 
এ বিষয়ে ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে জানান, চরমপন্থি দলের সদস্যরা গত দুই বছর আগে বাজার এলাকায় এমন পোস্টারিং করেছিলো। এবারও তারা একই কাজ করলো। তবে আগের ঘটনায় তারা গুলি করেনি। এবার গুলি করার মাধ্যমে শক্ত উপস্থিতি জানান দিল।

তিনি আরও জানান, চরমপন্থিদের উপস্থিতির কারণে ভবানীপুর ও রানীরহাট বাজার এলাকার লোকজনের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে তিনি ঘটনাটি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানান। এরপর দুপুরের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৬
এমবিএইচ/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।