ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাংবাদিক নাজনীনকে ২২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
সাংবাদিক নাজনীনকে ২২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: পারিবারিক সহিংসতার মামলায় দৈনিক জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নাজনীন আখতারকে ২২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে তার সাবেক স্বামী রকিবুল ইসলামকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনের মামলার রায়ে ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।



বিচারক উভয় পক্ষের মানিত সালিশের দাখিলকৃত প্রতিবেদন, আবেদনকারী ও প্রতিপক্ষের সামাজিক মর্যাদা এবং মূল মামলার আবেদনসহ সার্বিক পর্যালোচনায় এ আদেশ দেন। রকিবুল উক্ত টাকা একবারে কিংবা কিস্তিতে দিতে পারবেন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য উভয়পক্ষকে তিনজন করে মোট ছয়জনের নাম জমাদানের নির্দেশ দেন। এরপর তারা ছয়জনের নাম প্রস্তাব করলেও আদালতে একপক্ষ অপরপক্ষের দুজন করে মোট চারজনের নামে আপত্তি দাখিল করেন।

পরে বিচারক বিএফইউজে’র মহাসচিব ও বাসস এর নিউজ এডিটর ওমর ফারুক এবং বিএফইউজে’র কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ৭১ টিভির বার্তা পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজাকে ক্ষতিপূরণ নির্ধারনের দায়িত্ব দেন।

গত ২৪ ডিসেম্বর ওই দুই সাংবাদিক নেতা জাতীয় প্রেসক্লাবে উভয় পক্ষের সঙ্গে সালিশে বসেন। সালিশে রকিবুল বাদিনীকে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানে সম্মত হন।

সালিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা আদালতে এসে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু রকিবুল নাজনীনকে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অঙ্গীকার থেকে সরে আসেন এবং তার আইনজীবী সালিশ বৈঠকের বিষয়টিও আদালতে অস্বীকার করেন।

এরপর বিচারক ১১ জানুয়ারি ক্ষতিপূরণ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য তারিখ ধার্য করেন।

দৈনিক জনকন্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নাজনীন পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগে রকিবুলের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে ৫০ ল‍াখ ৪৪ হাজার ২শ’ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
এমআই/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।