ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রক্রিয়াজাত ও রফতানির ওপর বেশি গুরুত্ব দিন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
‘প্রক্রিয়াজাত ও রফতানির ওপর বেশি গুরুত্ব দিন’

ঢাকা: মাংস-দুগ্ধ, মৎস্য-প্রাণিজ আমিষসহ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি এসবের প্রক্রিয়াজাত, পণ্য বহুমুখীকরণ করে বিদেশে রফতানির ওপর বেশি করে গুরুত্ব দিতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কৃষকদের মধ্যে ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজননখাতে গ্রহীতা পর্যায়ে দুই শ’ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কেবল ৫ শতাংশ সুদে এসব ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত কয়েকজন ঋণ গ্রহীতার হাতে চেক তুলে দিয়ে বিতরণ কাজের সূচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী ঋণের টাকা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে গ্রহীতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

মাংস উৎপাদনের দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক মুসলিম দেশ আছে যারা বাইরে থেকে মাংস আমদানি করে। আমরা মাংস উৎপাদন বাড়িয়ে হালাল মাংস রফতানি করতে পারি।

উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নত সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সরকার গবেষণার ওপর জোর দিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য এখন দেশের মানুষের পুষ্টি নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে না বলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা থেকে যাচ্ছে। যা দিয়ে উন্নয়ন কাজ করছি আমরা।

বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ বাড়লে কারো কাছে হাত পাততে হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো কাছে ভিক্ষা চাইতে যাবো না। আমরা নিজস্ব শ্রম ও মেধা দিয়ে এগিয়ে যাবো। মনে রাখতে হবে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ করে জয়লাভ করা জাতি।

শেখ হাসিনা বলেন, এদেশের মানুষের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমরা কৃষকদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। একটা সময় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আমাদের বলেছিল- কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা বলেছি এই ভর্তুকি নিজস্ব অর্থায়নে দেবো এবং তা দিয়েছি। শুধু তাই নয় বর্গা চাষীদের বিনা জামানতে অল্প সুদে কৃষি ঋণ দিতে শুরু করি আমরাই।

তিনি বলেন, আমরা দেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই যেন বাইরে থেকে কিছু আনতে না হয়।

‘আমরা যদি কাজ করে যাই তবে দেশের উন্নয়ন করতে পারবো’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, তাই তো কাজ করে যেতে হবে। ইতোমধ্যে মাছের উৎপাদন বাড়িয়েছি, জয় করা বিশাল সমুদ্রসীমাকেও কাজে লাগাতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করবো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।

সরকার গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিনা জামানতে কৃষি ঋণ, কৃষি উপকরণের মূল্য হ্রাসসহ কৃষকদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধাসহ বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মোহাম্মদ মাসুদুল হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আতিউর রহমান প্রমুখ।

** দুগ্ধ উৎপাদনে ২শ’ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ শুরু
** কারো কাছে ভিক্ষা চাইতে যাবো না

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
এমইউএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।