ঢাকা: হবিগঞ্জের চান্দপুর-বেগমখান চা বাগানের কৃষিজমিতে নয় স্পেশাল ইকোনমিক জোন করার পরিকল্পনা খাসজমিতে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘চান্দপুর-বেগমগঞ্জ চা বাগানের কৃষিজমিতে স্পেশাল ইকোনমিক জোন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, দেড় শ’ বছর আগে থেকে চান্দপুর-বেগমখান এলাকায় আদিবাসীরা আস্তে আস্তে পতিত জমিতে চা বাগান ও কৃষি কাজের উপযোগী করে তুলেছেন। কিন্তু আদিবাসীরা সেসব জায়গার মালিকানা পাননি।
তারা বলেন, সেখানকার চা বাগানে দৈনিক ৬৯ টাকার মজুরিতে শ্রমিকরা কাজ করেন, পাশাপাশি কৃষিজমিতে চাষাবাদ করে অতি কষ্টে জীবনযাপন করে আসছে তারা। সেখানে শিল্পকারখানা হলে শ্রমিকরা তাদের ভিটেমাটি ও চাকরি হারাবে।
চান্দপুর-বেগমখান ভূমি রক্ষা কমিটি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাসদের আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিত হোসেন প্রিন্সসহ চান্দপুর-বেগমখান চা বাগানের একাধিক শ্রমিক নেতা।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমরা দেখে আসছি, যে এলাকায় ধনী লোকরা বসবাস করেন সেসব জমি অধিগ্রহণ করা হয় না, কিন্তু যে এলাকায় গরিব মানুষের বসবাস, সেই এলাকায় অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তা চললে দেওয়া যায় না।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, শ্রমিকদের জমি নিয়ে চক্রান্ত চলছে। এটি সেখানকার মানুষদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সেখানে উন্নয়নের নামে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
সভায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, দেশের চা শিল্পকে চা শ্রমিকরাই রক্ষা করে আসছেন। কিন্তু সেই এলাকায় এখন কৃষিজমি নষ্ট করে কারখানা করার কথা ভাবছে সরকার।
চা শ্রমিকদের জায়গাতে না করে খাসজমিতে ইকোনমিক জোন করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সঞ্জীব দ্রং বলেন, আন্তর্জাতিক আইনে ঐতিহ্যগতভাবে ও দখল ভিত্তিতে এই জমির মালিক সেখানে বসবাস করা চা শ্রমিকরা। কিন্তু সরকারের খাতায় সেসব শ্রমিকদের নাম নেই।
চান্দপুর-বেগমখান ভূমি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অভিরত বাকতির সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্য সচিব নৃপেল পাল স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
টিএইচ/আইএ